বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, সিইও পদে নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে দিল্লিতে তিনজন আইএএস অফিসারের নাম পাঠাতে হয়। তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই পদের জন্য প্রাথমিকভাবে যে নামগুলি সামনে আসছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজ্যের বর্তমান কৃষি বিপণন সচিব ওঙ্কার সিং মিনা। এছাড়া রাজ্য মৎস্য দপ্তরের সচিব রোশনি সেনের নামও এই চর্চায় রয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের বর্তমান স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের নামও নাকি নবান্নের অন্দরে ঘোরাফেরা করছে।
৬ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করতে চলেছে রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। বাংলাদেশ ইস্যুতে যেভাবে ভোটার তালিকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে, তাতে নির্ভুল এবং স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা বিরাট চ্যালেঞ্জের বিষয়। ইতিমধ্যেই বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে ‘ভুয়ো’ ভোটার নিয়ে বহু অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে। তাই পরবর্তী সিইও’র উপর স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশ করার মূল দায়িত্ব বর্তাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নতুন সিইও’র নাম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির বিশেষ কৌতূহল এই কারণে যে, পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তাঁরই পর্যবেক্ষণে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষেই মত দিয়েছেন সবক’টি রাজনৈতিক দলের নেতারা। পরপর তিনবার বাংলার ক্ষমতায় আসীন তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৬-এর নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই প্রত্যয়ী রাজ্যের শাসক দল। তারা চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে বলেই মনে করে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, ‘২০২৬-এ ফের আমরাই ক্ষমতায় আসছি।’ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অবশ্য পাল্টা দাবি, ‘বাংলায় তৃণমূল সরকারের মেয়াদ আর মাত্র ১৫ মাস!’
এই প্রেক্ষাপটে নতুন সিইও কে হবেন, সেই নাম নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে কৌতূহল তুঙ্গে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘নতুন সিইও’র কাছে আমাদের প্রত্যাশা তিনি নিরপেক্ষভাবেই সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবেন। বাংলার মানুষ নিরপেক্ষ ভোটের মধ্য দিয়েই এযাবৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে তাঁদের রায় দিয়েছেন।’ অন্যদিকে, বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভয়মুক্ত, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলার মানুষকে উপহার দেবেন, এটাই নতুন সিইও’র কাছে আমাদের প্রত্যাশা। তিনি যেন নিরপেক্ষ ভূমিকায় থেকেই তাঁর চেয়ারের মর্যাদা রক্ষা করেন।’