বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
এদিকে সাজিবুলকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, শাদের ভাই সাদ্দাম বাংলাদেশ থেকে এসে মুর্শিদাবাদে হরিহরপাড়ায় তাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় সাইবার ক্যাফে মালিক আলমগিরকে ধরে সাদ্দামের জন্য ভারতীয় নথি তৈরি করে দেয় সাজিবুল। সাদ্দাম তাকে জেহাদি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করে তোলে। মগজ ধোলাই হওয়ার পর তাকে সংগঠনের ছোটখাট কাজকর্ম দেখতে বলা হয়। সাদ্দাম পরে বাংলাদেশ ফিরে গেলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত। তদন্তকারীদের সাজিবুল জানিয়েছে, সাদ্দাম এবিটি প্রধানের ‘পিএ’। তদন্তকারীরা বলছেন, জসিমুদ্দিন রহমানি সাজিবুলকে এবিটি’র ‘কোর গ্রুপে’ জানায়, সংগঠনের উপস্থিতি জানান দিতে বাংলা-অসমের জনবহুল এলাকায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটাতে হবে। বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে সাজিবুলকে পাঠানো হয় অসমের কোকরাঝাড়ে বিশেষজ্ঞ নুর ইসলামের কাছে। সাজিবুলের মোবাইল ঘেঁটে নূরের কাছে প্রশিক্ষণের বিভিন্ন ছবি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার মোবাইলে আইএসআইয়ের বেশ কিছু অফিসার ও হ্যান্ডেলারদের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথোপকথনের বেশ কিছু তথ্য শাদ সহ অন্য জঙ্গিরা ধরা পড়ার পর ‘ডিলিট’ করে দেয় শাদের পিসতুতো ভাই।
জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারছেন, নুরের কাছে প্রশিক্ষণ শেষে সাজিবুল মুর্শিদাবাদ ফেরে। আইইডি তৈরির অর্থ ও কাঁচামাল জোগাড় করছিল। অন্যদিকে কোকরাঝাড় থেকে ধৃত অপর জঙ্গি গাজিকে জেরা করে জানা গিয়েছে, সে এবং নুর একসময় বোড়ো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেই সংগঠনের বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র তারা চুরি করেছিল। এবিটি নতুন করে অসম-বাংলায় ডানা বিস্তার করার চেষ্টা শুরু করা মাত্রই সেই সব আগ্নেয়াস্ত্র সে নুর ইসলামের হাতে তুলে দিয়েছিল।