পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
মনোজকে জেরা করে অফিসাররা জেনেছেন, জাল আধার, প্যান ও স্কুল সার্টিফিকেট তৈরির ব্যবসা বহু পুরনো। তার মোবাইল ঘেঁটে বাংলাদেশের একাধিক এজেন্টের নাম মিলেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে লোক নিয়ে আসছে মনোজের কাছে। এমনকী অভিযুক্ত নিজেও একাধিকবার বাংলাদেশে গিয়েছে। কোন কোন সীমান্ত দিয়ে লোক ঢুকবে, তা সেখানে গিয়ে ঠিক করত সে। প্রতিদিন কতজন ঢোকানো হবে, তার কোটাও বেঁধে দিয়েছিল অভিযুক্ত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে রিসিভ করত মনোজের এজেন্টরা। জানা যাচ্ছে, বনগাঁ, বসিরহাট এলাকায় একাধিক ঘর ভাড়া নেওয়া রয়েছে পাসপোর্ট কাণ্ডের কিংপিনের। সেখানেই এনে রাখা হতো অনুপ্রবেশকারীদের। এই ঘরগুলি দেখভাল করত তার এক বান্ধবী। বাংলাদেশি নাগরিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জেনে নিয়ে সেইমতো বিদেশে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হতো। প্রথমে তাদের ভোটার কার্ড তৈরি করত অভিযুক্ত। এই কার্ডকে হাতিয়ার করেই আধার ও প্যান তৈরি করে ফেলত কিংপিন। স্কুল বা বোর্ড পরীক্ষার নকল সার্টিফিকেট বানানোর জন্য আালাদা সফটওয়্যার তৈরি করেছিল মনোজ। এমনকী বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে বোর্ড পরীক্ষার জাল মাকর্শিটও সে নিয়ে এসেছে। মনোজের মাধ্যমে পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরি করে যারা বিদেশে গিয়েছে, তাদের তালিকা তৈরি করেছেন গোয়েন্দারা। তার তৈরি করা জাল নথির ভিত্তিতে পাসপোর্ট নেওয়া যে সব ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে, তাদেরও নাম জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।