পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
অরাজনৈতিক আন্দোলনের মুখ বানিয়ে রেখা পাত্রকে গোটা দেশের সামনে বাংলার নির্যাতিতা বলে হাজির করিয়ে ভোট বৈতরণি পেরনোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল পদ্মপার্টি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে গেরুয়া শিবিরের চুনোপুঁটি, হাজিরা দিয়েছেন অনেকেই। সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্র তো বটেই, গোটা বসিরহাট লোকসভা আসনটি দখলের স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই স্বপ্ন সফল হয়নি। ভোটপর্বে জবাব দিয়েছেন বাংলার মানুষ। রেকর্ড ভোটে বসিরহাট জিতে নেয় জোড়াফুল শিবির। সব কুৎসা-অপপ্রচার উড়িয়ে যোগ্য সঙ্গত দেয় লোকসভা আসনের অন্তর্গত সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রটিও। তখনই মমতা জানিয়েছিলেন, যাবেন সন্দেশখালি মানুষের দরবারে। পৌঁছলেনও তিনি। আর পৌঁছেই দুপুরে ঋষি অরবিন্দ মিশন মাঠের মঞ্চ থেকে মমতার দৃপ্ত বার্তা—‘সন্দেশখালি প্রমাণ করে দিয়েছে, টাকা ছড়িয়ে বাংলায় ভোট কেনা যায় না। মানুষকে ভুল বোঝানো যায় না।’ জনতার উচ্ছ্বাসের সিংহগর্জনের মধ্যেই সন্দেশখালির মা-বোনদের পরামর্শ—‘দুষ্টু লোককে এড়িয়ে চলুন। তাদের খপ্পরে পড়বেন না।’ সভাস্থল উপচে পড়া কয়েক হাজার মহিলার সমোচ্চারিত কণ্ঠস্বরে ‘দিদি, দিদি’ আকুতি যেন জানাচ্ছিল, তাঁরা ‘মমতা স্পর্শে’র বাইরে থাকতে চান না।
মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা যে তুঙ্গে, মননে গেঁথেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘আমি জানি। এখানে অনেক টাকার খেলা হয়েছিল। মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু পরে তো দেখলেন, সবটাই মিথ্যা। সবটাই ছিল ওদের ভাঁওতা। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, মিথ্যা বেশিদিন চলে না।’ প্রত্যয়ী বার্তা মমতার—‘টাকার জোরে ভোট হয় না, ভোট হয় উন্নয়নের নিরিখেই।’ আর সেই উন্নয়নের মানচিত্রে সন্দেশখালি আগামী দিন এক নম্বর স্থানে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গর্বিত মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বাস, এই সন্দেশখালি থেকেই একদিন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট কিংবা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকারীর নাম প্রকাশ পাবে। বক্তব্যের শেষ লগ্নে মমতা বলেছেন, ‘সন্দেশখালিতে যা হয়েছে আমার মনে নেই। ভুলে গিয়েছি। মনে রাখতে চাই না। শুধু চাই, সন্দেশখালি এগিয়ে চলুক।’ রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, ডিজি রাজীব কুমার, মন্ত্রী সুজিত বসু, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতরা একসুরে বলেন,‘শান্তির বাতাবরণে সন্দেশখালি এগিয়ে যাবে উন্নয়নকে পাখির চোখ করেই।’