পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
গঙ্গাসাগর মেলায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি উপর বাড়তি গুরুত্ব এমনিতেই দিচ্ছে প্রশাসন। প্রতিবার খান কুড়ি ড্রোন ব্যবহার করা হয়। সংখ্যাটি এবার বাড়িয়ে অন্তত ২৫ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই এই বিশেষ ধরনের ড্রোন কাজে লাগানো হবে। আগে কুয়াশায় দিকভ্রষ্ট হয়ে মুড়িগঙ্গা নদীর চরে আটকে পড়ত অনেক ভেসেল। তার ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো তীর্থযাত্রীদের। খাবার ও জলের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়তেন তাঁরা। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কুয়াশার মধ্যে সেই জলযানকে খুঁজে পেতেই অনেক সময় লেগে যেত প্রশাসনের। তাই এবার বড় ড্রোনের সাহায্যে অত্যাবশ্যক পণ্য তীর্থযাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়া একাধিক ড্রোন ব্যবহার করা হবে অন্যকিছু কাজেও। জানিয়েছেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। সমুদ্র সৈকতে ঘোষণা, তীর্থযাত্রীদের উপর পুষ্পবৃষ্টি প্রভৃতিও এবার ড্রোন দিয়ে সম্পন্ন হবে।
এদিকে, মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করে তোলা হয়েছে। এনিয়ে হয়েছে বিস্তারিত বৈঠক ও আলোচনা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন সুন্দরবন পুলিস জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও। তিনি বলেন, সাগর মেলার নজরদারিতে ব্যস্ত থাকবেন ১৩ হাজার পুলিসকর্মী। সমস্ত অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জলে ও ডাঙায় থাকছে বাড়তি নজরদারি ব্যবস্থা। মুড়িগঙ্গা নদীতে সারাক্ষণ চলবে নিরাপত্তারক্ষীদের টহলদারি।
এর পাশাপাশি, গ্রিন গঙ্গাসাগর মেলা করার জন্য অন্যান্য উদ্যোগের সঙ্গে এবার সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক জানান, মেলাপ্রাঙ্গণ জুড়ে শ’খানেক এমন আলোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবার ১ নম্বর সৈকতেই বেশি পুণ্যার্থী সমাগমের পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। তাই সেখানে যাতায়াতের দুটি রাস্তা ঠিক করা হচ্ছে নতুনভাবে। সকল পুণ্যার্থী যাতে সুষ্ঠুভাবে সাগরে এসে পুণ্যস্নান সেরে পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন, তার জন্য রাজ্য সরকার সবরকম বন্দোবস্তই করেছে। জানিয়েছেন জেলাশাসক।