পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে লালগড়ে একটি বাঘকে স্থানীয়রা মেরে ফেলে। জিনাত জঙ্গলমহলে পা রাখার পর থেকেই তার সুরক্ষা নিয়ে বনদপ্তর উদ্বেগে ছিল। সেই কারণে তাকে সর্বদা ঘিরে রাখা হয়। এক্ষেত্রে জিনাতের গলায় থাকা ‘স্যাটেলাইট কলার’ বনদপ্তরকে ওই বাঘিনির অবস্থান জানতে সাহায্য করে। আগের বাঘটির গলায় তা ছিল না। তাছাড়া ওইসময় বনদপ্তরের সঙ্গে পুলিস-প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমন্বয়েরও অনেক ফাঁকফোঁকর ছিল। সেই কারণে বাঘের মৃত্যুর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। এবার তাই বাড়তি সতর্ক ছিল বনদপ্তর। আর তাদের কাজ অনেকটাই সহজ করে এআই।
বাঁকুড়া দক্ষিণের বিভাগীয় বনাধিকারিক(ডিএফও) প্রদীপ বাউরি বলেন, ঘন জঙ্গলে জিনাতের সন্ধান পেতে আমরা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স(এআই) ব্যবহার করেছি। স্যাটেলাইট কলার মাঝেমধ্যেই স্যাডো জোনের মধ্যে চলে যাচ্ছিল। ওই সময় বাঘের গতিবিধি আমরা জানতে পারছিলাম না। তাছাড়া এক কিলোমিটারের মধ্যে জিনাত থাকলেই একমাত্র স্যাটেলাইট কালারের অ্যান্টেনা কাজ করছিল। ফলে ওইসময় ড্রোন ক্যামেরা আমাদের ভরসা ছিল। আবার জঙ্গলের উপর থেকে লতাপাতা, ঝোপঝাড় ভেদ করে ক্যামেরার লেন্সের ফোকাসও সর্বত্র পৌঁছচ্ছিল না। ওইসময় ‘এআই’য়ের মাধ্যমে ক্যামেরা ও থার্মাল ইমেজ সিস্টেম সক্রিয় করা হয়। বিশেষজ্ঞরা এব্যাপারে বিশদে বলতে পারবেন। তবে বাঘ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য বনদপ্তর সুন্দরবনে যেসব প্রযুক্তি ও পদ্ধতি ব্যবহার করে, তা দেশের অন্য কোনও জায়গায় যে হয় না, তা হলফ করে বলতে পারি। তিনি আরও বলেন, আগে শিকার উৎসবে নির্বিচারে বন্য পশু হত্যা হতো। কিন্তু, লাগাতার সচেতনতামূলক প্রচারের ফলে তা অনেকটাই কমেছে। বাঁকুড়ার জঙ্গল বাঘের থাকার উপযুক্ত নয়। ফলে জিনাত বেশিদিন থাকলে তার বা বাসিন্দাদের ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ত।
রবিবার রাতে ভিন রাজ্যের ওই বাঘিনি কার্যত ‘ভিভিআইপি’র মতো কনভয়ে বাঁকুড়া ছাড়ে। যাত্রাপথে তাকে একঝলক দেখার জন্য শীতেও রাস্তার দু’পাশে অনেকে জড়ো হন।