চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
কিন্তু কীভাবে হবে এই সমস্ত কাজের মূল্যায়ন? এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করেই প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথনের তরফে। তাতেই বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে পঞ্চায়েতগুলির কাজের মূল্যায়ন করবে পঞ্চায়েত সমিতি। তার পরে জেলা পরিষদ। মোট ১০ নম্বর ধার্য করা হবে। তার মধ্যে পঞ্চায়েতগুলির নেওয়া উদ্যোগের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই শ্রেষ্ঠত্বের বিচার হবে। এই সমস্ত উদ্যোগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সহ তার প্রাপ্ত নম্বর জেলা পরিষদ পাঠিয়ে দেবে পঞ্চায়েত দপ্তরে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা এই উদ্যোগ কতজনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তার ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিচার করে তা তুলে দেবে পঞ্চায়েত দপ্তরের পোর্টালে। অন্যান্য পঞ্চায়েতগুলি এই সমস্ত কাজকে মডেল হিসেবে সামনে রেখে যাতে এই ধরনের উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতকে রাজ্যের তরফে দেওয়া হবে একটি শংসাপত্রও। একইভাবে পঞ্চায়েত সমিতি কোনও উদ্যোগ নিলে তার প্রাথমিক মূল্যায়ন করবে জেলা পরিষদ। আর জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব থাকবে দপ্তরের উপর। ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করেই সম্পূর্ণ কাজটি করা হবে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাজ্য যে সমস্ত উদ্যোগ নিচ্ছে, তৃণমূল স্তরে তার প্রচার চালানো নিয়েও একটি মডিউল তৈরি হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে। রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলা, ব্লক এবং গ্রাম পঞ্চায়েত— তিনটি স্তরেই সমস্ত প্রকল্প নিয়ে প্রচার চালানো হয়। এবার কোথায় কীভাবে প্রচারের কাজ চলে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট পোর্টালে তুলতে হবে। ফলে এখন থেকে প্রচার সংক্রান্ত খুঁটিনাটি রাজ্যস্তর থেকেই নজরে রাখা সম্ভব হবে। কোথাও কোনও পরিবর্তন আনার প্রয়োজন পড়লে সেই সংক্রান্তও নির্দেশ দেওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতকে। কবে প্রচার অভিযান হয়েছে, কাদের সঙ্গে নিয়ে হয়েছে, কোনও স্কুল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ক্লাব বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার চালানো হয়েছে কি না, তার ছবি সহ তুলতে হবে নির্দিষ্ট পোর্টালে। জানাতে হবে কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রচারে অংশগ্রহণ করেছেন কি না। সম্ভব হলে ভিডিওর লিঙ্কও তুলে দিতে হবে এই পোর্টালে।