যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
গত ক’দিনের তুলনায় সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) কিছুটা কমলেও তা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৩.৪ ডিগ্রি বেশি। আকাশ মেঘলা থাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (২৫.৬ ডিগ্রি) স্বাভাবিকের থেকে ২.৫ ডিগ্রি কম ছিল। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে অবশ্য সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। পুরুলিয়া সহ পশ্চিমাঞ্চলের যেখানে পারদ ১১-১২ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছিল, এদিন তা ১৬-১৭ ডিগ্রির কাছাকাছি হয়। আবহাওয়া অধিকর্তা জানিয়েছেন, বাতাসে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়াতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে কিছুটা সময় নেবে। আজ, মঙ্গলবার ও কাল, বুধবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও একটু কমে ১৮-১৯ ডিগ্রি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। আজ সকালের দিকে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও বেলা বাড়লে পরিষ্কার হবে। বুধবার আরও উন্নতি হবে আবহাওয়ার।
পশ্চিমাঞ্চল দিয়েই উত্তর-পশ্চিমের ঠাণ্ডা হাওয়া ঢোকে। তাই ওইসব অঞ্চলে ঠান্ডার প্রকোপ বেশি হয়। নভেম্বর মাসেই পুরুলিয়াতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল। ডিসেম্বরে এই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬-৭ ডিগ্রিতেও নেমে যায় কোনও কোনও দিন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কনকনে ঠান্ডা বলতে যা বোঝায়, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সেই পরিস্থিতি থাকে সাধারণত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। এটাই শহরে শীতের ‘পিক টাইম’। ডিসেম্বর মাসে কলকাতার স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.২ ডিগ্রি। তবে গত ১২ বছরের মধ্যে তা ১০ ডিগ্রিতে নামার নজিরও আছে। ১৯৬৬ সালের ২২ ডিসেম্বর কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি। এটাই এখনও পর্যন্ত ডিসেম্বরে কলকাতায় সবচেয়ে বেশি ঠান্ডার রেকর্ড।