যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
এদিনই দেশে ফেরার জন্য পেট্রাপোল সীমান্তে আসেন বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা সনাতনী রাধারমণ দাস। এক সঙ্গীকে নিয়ে মাসখানেক আগে তিনি ভারতে এসেছিলেন তীর্থযাত্রায়। ভিসার মেয়াদ আরও কিছুদিন থাকলেও আগেভাগেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। কারণ সেই একই। যে কোনও সময় সীমান্ত দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রাধারমণ দাসের কথায়, ‘আরও কিছুদিন ভারতে থাকার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু দেশের যা অবস্থা, কখন যে কী হয়, বোঝা মুশকিল। তাই আগেভাগে চলে যাচ্ছি।’ বাংলাদেশের সাগরদাড়ির ববিতা কর্মকারও একই কারণে তড়িঘড়ি দেশে ফেরার জন্য পেট্রাপোলে এসেছেন।
প্রতিমাদেবী বা রাধারমণ দাসরাই শুধু নন, একই আশঙ্কা তাড়া করছে দু’দেশের বহু মানুষকে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং একবগ্গা ভারত-বিদ্বেষ যে হারে বাড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন সেখানে থাকা ভারতীয়রা। চিকিৎসা বা অন্যান্য প্রয়োজনে ভারতে আসা বাংলাদেশিরাও দেশে ফেরা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। রবিবার পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকায় সেই উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার প্রতিফলনই দেখা গেল। তবে এদিন বাংলাদেশে ফেরার জন্য যাত্রীদের লাইন যতটা লম্বা ছিল, সেই তুলনায় অনেক কম যাত্রী এসেছেন ভারতে। সকালে যাত্রীদের ভিড় সামলাতে বিএসএফ-কে রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায়। আজ, সোমবার বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে পেট্রাপোল সীমান্তে সভার ডাক দিয়েছে সনাতনী ঐক্য পরিষদ। সেই সভা ঘিরে কোনও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে সীমান্ত দিয়ে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সীমান্তে বাণিজ্যে কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই স্থলবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘বাণিজ্যে এখনও তেমন প্রভাব না পড়লেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাপা উদ্বেগ রয়েছে।’