পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
১৪ নভেম্বর গুজরাতের উদভাড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনে ধর্ষণ করে খুন করা হয় কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করে। একটি ব্যাগে ছিল কিশোরীর সামগ্রী। অন্যটিতে লাল টি শার্ট, ছুরি ও নগদ টাকা। নিকটবর্তী ভাপি স্টেশন থেকে ফুটেজে দেখা যায় এক ব্যক্তি বাঁ পায়ের গোড়ালি একটু উপরে তুলে হাঁটছেন। পরনে হলুদ রঙের টি শার্ট। তাকে সন্দেহভাজন ধরেই তদন্ত শুরু হয়। তদন্তকারীদের বিশেষ টিম ছড়িয়ে পড়ে অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশে। বান্দ্রা, দাদর ও ভাপি থেকে ওই ব্যক্তির স্পষ্ট ছবি পান তদন্তকারীরা। উদয়ওয়াড়া স্টেশনের কাছে রেল লাইনে মেলা ব্যাগের লাল টি শার্ট যে তারই, সেই প্রমাণ হাতে আসে অফিসারদের। অন্য টিম গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের জেলে গিয়ে কথা বলেন সেখানকার কর্তাদের সঙ্গে। সুরাতের লাজপোর জেলের সুপার ছবি দেখে জানান, রাহুল নামে এই অভিযুক্ত কয়েকদিন আগেই জামিন পেয়েছে। জয়পুর জেলের কর্তারাও জানান, ২০১৮-’২৩-এর মধ্যে ট্রাক চুরির অভিযোগে ধরা পড়ে সেখানে ছিল এই অভিযুক্ত। তার বাড়ি হরিয়ানার রোহতকে। তদন্তকারী দলের সদস্যরা রোহতকে পৌঁছে জানতে পারেন, ট্রাক চুরি ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার মিলিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে ১৩টি অভিযোগ রয়েছে রাহুলের নামে। সেখান থেকেই তার নতুন দু’টি নম্বর জোগাড় করা হয়। তার মধ্যে একটি ব্যবহার করেই চলতি মাসের ১২ তারিখ ইনস্টাগ্রামে প্রোফাইল খুলেছে অভিযুক্ত। জেরায় রাহুল জানিয়েছে, ১৪ তারিখ খুনের পর ট্রেন পাল্টে সে ভদোদরা যায়। সেখান থেকে চলে আসে কাটিহারে। কাটিহার এক্সপ্রেসে খুনের পর অন্য স্টেশনে নামে। সেখানে থেকে দক্ষিণ ভারতগামী ট্রেনে উঠে চলে আসে সেকেন্দ্রাবাদ। ওই ট্রেনে অপরাধ করে একই কায়দায় সে পাড়ি দেয় বান্দ্রায়। তারপর সেখান থেকে গুজরাতে।