পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
গত ১৯ নভেম্বর সকালে হাওড়া স্টেশনে ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসের একটি কামরা থেকে উদ্ধার হয়েছিল তবলা শিক্ষকের রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত দেহটি। চাদরে ঢাকা। সর্বস্ব লুট হয়ে গিয়েছিল তাঁর। আশ্চর্যের বিষয় ট্রেনের বাকি কোনও যাত্রীর একটি সামগ্রীও কিন্তু উধাও হয়নি। তার মানে পুরো ব্যাপারটাই টার্গেট কিলিং। তখনই সন্দেহ দানা বাঁধে পুলিসের মনে। কিন্তু এই রহস্যের শেষটা এভাবে হবে, তা তদন্তকারী অফিসাররাও ভাবেননি। জেরায় জানা যাচ্ছে, চাদর দিয়ে ‘বডি’ ঢেকে যাওয়াটাই ছিল রাহুলের ট্রেডমার্ক। বাড়ি তার হরিয়ানার রোহতকে। অপরাধে হাতেখড়ি হয়েছিল স্কুলে সাইকেল চুরি দিয়ে। ধীরে ধীরে লুট, ধর্ষণ, খুনকেই নেশায় বদলে ফেলে সে। বাঁ-পা সামান্য ছোট। হাঁটত খুঁড়িয়ে। তাই দেখলে বিশেষভাবে সক্ষম বলেই মনে করত লোকজন। অপরাধী বলে ভাবতেও পারত না। সেই সুযোগই নিত রাহুল। ট্রেনে ঘুরে বেড়াত সে, আর খুঁজত ‘শিকার’। কখনও মহিলা কামরা, কখনও প্রতিবন্ধী। ১৪ নভেম্বর রেল ট্র্যাকে ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা না ঘটলে হয়তো এত সহজে তাকে ধরাও যেত না। ছাত্রী খুনের তদন্তে নেমে ১০০ জনের বিশেষ টিম তৈরি করে গুজরাতের ভালসাদ থানার পুলিস এবং জিআরপি। পাঁচ রাজ্যের অফিসারদের নিয়ে তৈরি হয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও। বিশ্লেষণ করা হয় ২ হাজার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও। ব্রেক-থ্রু মেলে আচমকাই। ২৫ নভেম্বর গুজরাতের ভাপি স্টেশন সংলগ্ন পার্কিং লট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এই সিরিয়াল কিলারকে। জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করেছে রাহুল। গুজরাত পুলিসের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে যাচ্ছেন হাওড়া রেল পুলিসের তদন্তকারীরা।
তবলা শিক্ষকের কাছ থেকে লুট করা মোবাইলটি সিরিয়াল কিলার রাহুল গত ২০ তারিখ খোলে। তদন্তকারীরা দেখেন, টাওয়ার লোকেশন রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সে রেলে সফর করছে। ক্রমাগত বদলাচ্ছে তার টাওয়ার লোকেশন। এরইমাঝে সোমবার হাওড়া রেল পুলিসের এক কর্তার কাছে ভালসাদ জেলার পুলিস সুপার করণরাজ বাঘেলার ফোন আসে। তিনি জানান, রাহুল জাঠ নামে যাকে তাঁরা গ্রেপ্তার করেছেন, তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মোবাইল বাংলার নম্বরের। রহস্যের মেঘ কাটে তৎক্ষণাৎ।