পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে অষ্টম সেমেস্টার শুরু হচ্ছে। কয়েকদিন আগে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা হয়। ১৫ জন পড়ুয়া পরীক্ষা দেন। হলে ঢোকার সময় তাঁদের চেকিং হয়। পাঁচজন পরীক্ষক গার্ড দেন। তাতেই তাঁরা বুঝে যান, সেমেস্টারেও একই রকম কড়াকড়ি হবে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতিটি পরীক্ষার হলে সিসি ক্যামেরার বন্দোবস্ত করেছে। তাই রেহাই পেতে এদিন ২০-২৫ জন পড়ুয়া ডিন এবং অধ্যক্ষের শরণাপন্ন হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘একথা ঠিক, আমাদের মূল দাবি ছিল হস্টেলে পর্যাপ্ত রুমের ব্যবস্থা করা। তা না হলে পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। তবে, সাপ্লি পরীক্ষায় কড়াকড়ি হওয়ায় অনেকে আতঙ্কিত। সেকারণেই তা কিছুটা শিথিল করার জন্য বলা হয়েছে।’ যদিও আন্দোলনকারী চিকিৎসক গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, ‘সামনেই আমাদের পিজিটি পরীক্ষা। তা নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি। আমরা অধ্যক্ষের কাছে যাইনি। জুনিয়ররা গিয়েছিলেন।’ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পড়ুয়ারা এদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এসেছিল। পরীক্ষার হলে গার্ডের বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাস্থ্যভবন যে গাইডলাইন দিয়েছে সেভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। লাইভ স্ট্রিমিংও করা হবে। ওদের হস্টেলের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কয়েকদিন আগে এক বিদ্রোহী চিকিৎসকের অডিও ক্লিপ ঘিরেও বিতর্ক হয়েছিল। তাতে তিনি এক জুনিয়রকে পরীক্ষার হলে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন বলে শোনা যায়। ফোনের ওপারে থাকা পড়ুয়াকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি নিজেই নাকি পরীক্ষার হলে থাকবেন। অথচ, পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বচ্ছতা আনার দাবিতে আন্দোলনের সময় তিনিই সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন! এভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের স্বচ্ছতার দাবি তাঁদেরই ব্যুমেরাং হবে, সেটা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি।