পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গুজরাতের পারদি থানার উদভাড়া এলাকায় একটি ধাবার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা লরির মালপত্র হাতানো দিয়ে শুরু হয় তার অপরাধমূলক কাজকর্ম। তারপর সে আস্ত ট্রাক চুরি করতে শুরু করে। হরিয়ানার রোহতক এলাকায় ২০১৫ থেকে ২২ সালের মধ্যে সে সাতটি ট্রাক চুরি করে। সেই রাজ্যের পুলিস তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করলে সে পালিয়ে গিয়ে কখনও উত্তরপ্রদেশ, কখনও উত্তরাখণ্ড বা রাজস্থানে আশ্রয় নেয়। ট্রাক চুরির সূত্র ধরেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর। সে তখন বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার শুরু করে দেয়। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও উত্তরাখণ্ডে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের মামলায় সে ধরাও পড়েছিল। জেলে থাকাকালীন সে অপরাধের ধরন বদলে ফেলবে বলে ঠিক করে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, বারবার ধরা পড়ে যাওয়া ঠেকাতে রেলেই ‘কাজ’ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর ট্রেনে ঘুরে বেড়াবে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে। অপরাধ করলেও তাকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। তাছাড়া, বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ায় তাকে কেউ খুব একটা সন্দেহও করবে না। খুনের পর লুট করে যে কোনও স্টেশনে নেমে যাবে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, গত অক্টোবরেই সে পুনে কন্যাকুমারী এক্সপ্রেসে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের পর লুটপাট করে। চলতি মাসে বেঙ্গালুরু থেকে মুদ্রেশ্বরগামী ট্রেনে এক যাত্রীকে খুন করে তাঁর সর্বস্ব লুট করে। তারপর একাধিক ট্রেন পাল্টে সে চলে আসে গুজরাতের ভাপিতে। সেখানে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের পর ১৯ নভেম্বর কাটিহার এক্সপ্রেসে সে বালির তবলা বাদককে খুন করে। এমনকী, সোমবার ধরা পড়ার আগে সেকেন্দ্রাবাদে এক ট্রেনযাত্রী এক মহিলাকে খুন করে লুটপাট চালায়। প্রতিটি অপরাধের পর সে চলন্ত ট্রেন থেকেই ব্যবহৃত অস্ত্র ফেলে দিত। নতুন কোনও স্টেশনের লাগোয়া এলাকা থেকে ছুরি কিনে পরের অপরাধের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিত সে।