কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
হাজি নুরুল ইসলাম ২০১৬ ও ২০২১ সাল– পরপর দু’বার হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। শেষবার, অর্থাৎ ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ৮০ হাজার ৯৯৬ ভোটে জয়ী হন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে। বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে প্রায় ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটে হারিয়ে হাজি নুরুল সাংসদ নির্বাচিত হন। লোকসভা নির্বাচনে হাড়োয়া কেন্দ্র থেকে তিনি প্রায় ১ লক্ষ ১১ হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন। সাংসদ পদে শপথ নেওয়ার আগে তাঁকে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়। এরপর হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে প্রয়াত হাজি নুরুলের মেজ ছেলে শেখ রবিউল ইসলামকে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রচারের সময়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইএসএফ ও বিজেপি ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিল। কিন্তু গণনায় দেখা যাচ্ছে, বিরোধীরা দাগ কাটতেই পারেনি। বিজেপি সহ বিরোধীদের জামানত জব্দ হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। দেখা যাচ্ছে, বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস যে বুথের ভোটার, সেই বুথ নম্বর ২০০-তে ৪৯৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এছাড়া ২১২ নম্বর বুথের ভোটার আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম। কিন্তু এই কেন্দ্র থেকেও ৩০৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন রবিউল। ফলে, নিজেদের বুথেই ভালো ভোটে হার হয়েছে দুই প্রার্থীর। জয়ের শংসাপত্র হাতে নিয়ে রবিউল বলেন, আমি হাড়োয়ার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। যেভাবে মানুষ বিরোধীদের কুৎসা ও অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে, তাতে করে আগামী দিনে উন্নয়নের কাজের গতি আরও বাড়বে। বাবার অসম্পূর্ণ কিছু কাজ আছে, সেগুলি আগে শেষ করব। স্বাস্থ্য থেকে যোগাযোগ– সবকিছুর উপর নজর দেব। কারণ আমি তো এখন হাড়োয়ার ঘরের ছেলে! প্রথমবারেই বাবার রেকর্ড ভাঙলেন। অনুভূতি কেমন? উত্তরে রবিউল বলছেন, সামনে থেকে বাবাকে দেখেছি দলকে নেতৃত্ব দিতে। ওঁর দেখানো পথেই চলব। আর রেকর্ড ভেঙেছি বলে, আমি বাবার উপরে নয়, পায়ের তলাতেই থাকব!