কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
এদিন বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা বলেন, আর জি কর কাণ্ডের কোনও প্রভাব মানুষের মধ্যে নেই। এই আন্দোলন প্রথমদিকে মানুষের আন্দোলন ছিল। পরবর্তী সময়ে সেই আন্দোলনকে বিরোধী দলগুলি নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজে লাগিয়েছে, যা মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। বিরোধী শিবির ভেবেছিল, আর জি কর কাণ্ডকে সামনে রেখেই ভোটে বাজিমাত করবে। কিন্তু, মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই রায় দিয়েছে। সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
গত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর আসনে তৃণমূল জিতলেও পুরসভা এলাকায় কিছুটা পিছিয়ে যায়। সেটা গলার কাঁটার মতো বিঁধছিল। এছাড়াও বেশকিছু পঞ্চায়েত এলাকায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। কয়েক মাস যেতে না যেতেই উপনির্বাচন চলে আসায় বেশ অস্বস্তিতে পড়ে ঘাসফুল শিবির। তার উপর আর জি কর কাণ্ড সামনে আসে, যা বেশ চাপে ফেলে তৃণমূল নেতা কর্মীদের। তাই দলের তরফে উপনির্বাচনে অবজার্ভার নিয়োগ সহ একাধিক স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রচারে ঝড় তোলে ঘাসফুল শিবির। আর তাতেই বাজিমাত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত লোকসভা ভোটে পুরসভা এলাকায় যেখানে প্রায় ছ’হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। উপ নির্বাচনে প্রায় ১২ হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছে সবুজ বাহিনী। এছাড়াও গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রায় ২২ হাজার ভোটের লিড পেয়েছে। এক তৃণমূল নেতা বলেন, বিজেপি ভাবে, টাকা খরচ করলেই ভোট হয়। আসলে ভোটের জন্য শক্তিশালী সংগঠনের প্রয়োজন। সিপিআই অন্তত ১০ শতাংশ ভোট পাবে বলে মনে করেছিল অনেকেই। কিন্তু, তারা আরও পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। সহজ কথা, মানুষের জন্য যে কাজ করবে, সেই ভোটে জিতবে।
এক বিজেপি নেতা বলেন, ভেবেছিলাম আর জি কর কাণ্ডের জেরে শহর এলাকায় ভালো প্রভাব পড়বে। গ্রামীণ এলাকায় হয়তো আমরা কম ভোট পাব। কিন্তু, কোথাও কোনও প্রভাব পড়েনি। আসলে বুথস্তরে আমাদের সংগঠন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এছাড়া গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। যা মানুষ ভালো চোখে একেবারে নেয়নি।
জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, আর জি কর কাণ্ডের জেরে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। এটা পরিষ্কার, যে তৃণমূল আর জি কর কাণ্ডের দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে। মানুষ এর জবাব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দেবে। আমরা প্রায় ৮১ হাজার মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। মানুষ আমাদের সঙ্গেই থাকবে। বাংলার মানুষের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।
সিপিআই প্রার্থী মনিকুন্তল খামরুই বলেন, আর জি কর কাণ্ডের প্রভাব ভোটের ফলাফলে পড়েনি। আমরা ভেবেছিলাম, গ্রামাঞ্চলে না হোক শহরে এর প্রভাব পড়বেই। কিন্তু, নির্বাচনে দেখলাম তৃণমূলের ভোট আরও বেড়ে গেল। এনিয়ে দলের অন্দরে আলোচনা হবে।