কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
শনিবার রাজ্যের ছ’টি বিধানসভার উপ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। দেখা যায়, আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের আবহ এই ভোটে তেমন কোনও দাগ কাটতে পারেনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট ব্যবধান ছাপিয়ে হাড়োয়ার উপ নির্বাচনে রবিউল ইসলাম জয়ী হন। স্থানীয়দের কথায়, একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। সেই নিরিখে বিরোধীদের ভোট চাওয়ার মতো কোনও জায়গাই নেই। তার উপরে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও ছিল এলাকায়। সেই নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার হন তিনি। তবে, এমন বিপুল অঙ্কে হারের বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস বলেন, কী কারণে এই হার হল, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। আগে আমাদের যে বুথে জয় হয়েছিল, সেখানেও আমাদের পরাজয় হয়েছে। এর কারণ খোঁজা হচ্ছে।
এদিকে, হাড়োয়ায় উপ নির্বাচনের জয়ের পর নতুন বিধায়ককে শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও বারাকপুরের সংসদ পার্থ ভৌমিক। সুজিত বসু বলেন, এটা মা মাটি মানুষের জয়। আমাদের কর্মীরা রোজই জোরকদমে প্রচার করেছেন। আর বিজেপির বিভেদের রাজনীতির জবাব দিয়েছে গোটা বাংলার মানুষ। অন্যদিকে, সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, আর জি কর নিয়ে বিরোধীরা আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু যারা এটা করতে চেয়েছিল, মানুষ তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুল হাই, সফিক আহমেদরা বলেন, বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে নানান কথা বলছিল। কিন্তু বাংলার জনগণ তাঁর অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে দিল। বাংলার মানুষ যে আজও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থাশীল, তা ফের প্রমাণিত হল। সন্দেশখালি নিয়ে লোকসভার আগে বিজেপি, সিপিএম কুমিরের কান্না কেঁদেছিল। আর জি কর নিয়েও ওদের একই অবস্থান ছিল। এদিন সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে গেল।