কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
এই উপ নির্বাচনে ৬টি কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বামফ্রন্ট মনোনীত ও সমর্থিত প্রার্থীদের। লিবারেশন এবং বামফ্রন্টের শরিক দলগুলির অবস্থা রীতিমতো শোচনীয়। সিতাইয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী দেড় শতাংশ, মাদারিহাটে আরএসপি আড়াই শতাংশের কম এবং নৈহাটিতে লিবারেশনের প্রার্থী ছয় শতাংশ ভোট পেয়েছেন। মেদিনীপুরে সিপিআই সাড়ে পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়েছে। প্রদত্ত ভোটের এক ষষ্ঠাংশ সমর্থন পেলে তবেই জামানত রক্ষা হয়। সিতাইয়ে বামেরা কংগ্রেসেরও পিছনে চলে গিয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাম শিবিরের প্রার্থীদের মধ্যে ‘ফার্স্ট বয়’ হলেও হাড়োয়াতে আইএসএফ প্রার্থীরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দলের একমাত্র বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি বলছেন, ‘২০২৬ সালে জোট কী হবে, সেটা পরের কথা। একটা বিষয় ভাবাচ্ছে, রাজ্যস্তরে জোট হলেও তৃণমূল স্তরে সিপিএমের সঙ্গে আমাদের ভালো জোট হয়নি। গত লোকসভায় বামেদের যা ভোট ছিল, সেই ভোট আমাদের কাছে আসেনি। আমি আগে বামফ্রন্টের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব। বাকিটা বলে দেবে সময়।’
সিপিএম অবশ্য গত লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফল সামনে আনছে। বাম নেতৃত্বের বক্তব্য, গত লোকসভা ভোটের নিরিখে তালডাংরা ও মেদিনীপুরে বামেদের ভোট বেড়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভার সঙ্গে তুলনা করলে তালডাংরাতেও ভোট কমেছে বামেদের। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আর জি কর আন্দোলনকে নির্বাচনের কর্মসূচি হিসেবে আমরা ভাবিনি। কোথাও ভোট খানিক বেড়েছে। তৃণমূল ৮০-৮৫ ভাগ ভোট পেয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে!’ আইএসএফের সঙ্গে তৃণমূল স্তরে জোটের প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘সেটা পর্যালোচনার বিষয়। আমি বলব, হাড়োয়াতে আমরা দ্বিতীয় হয়েছি।’