কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে মেদিনীপুর কলেজে তৈরি গণনাকেন্দ্রে খোস মেজাজে ছিলেন শাসকদলের প্রার্থী সুজয়বাবু। বেলা বাড়তেই গণনাকেন্দ্রের বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা -কর্মীরা। প্রচুর আবির ও মিষ্টি আগে থেকেই মজুত করে রাখা ছিল। গণনা শেষে তৃপ্তির হাসি সুজয়বাবুর মুখে। তিনি বলেন, এটা সাধারণ মানুষের জয়। বিপুল সংখ্যক মানুষ আশীর্বাদ করেছেন। মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামী দিনে মানুষের জন্য অনেক কাজ করা বাকি রয়েছে। ভোট কিছুটা কম পড়েছে। না হলে ব্যবধান আরও বাড়ত। দলের নেতা-কর্মীদের সহযোগিতা ছাড়া জয় সম্ভব হতো না।
এদিন সকালের দিকে গোলকুয়াচক এলাকায় বিজেপির ক্যাম্পে আসতে শুরু করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু প্রথম রাউন্ড থেকেই ব্যবধান বাড়াতে শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী। প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে যান প্রায় দেড় হাজার ভোটে। দ্বিতীয় রাউন্ডে সেই ব্যবধান বেড়ে হয় পাঁচ হাজার। সেই খবর পেয়েই তৃণমূল কর্মীরা ভিড় জমাতে শুরু করেন। ঘাসফুলের মার্জিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির ক্যাম্পে থাকা নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন। আবির খেলায় মেতে ওঠেন ঘাসফুল বাহিনীর কর্মী-সমর্থকরা। পঞ্চুরচক এলাকায় ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নাচতে শুরু করেন কর্মীরা। এরপর প্রার্থী বেরিয়ে আসতেই শুরু হয় মিষ্টিমুখ পর্ব। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ রফিক বলেন, ধর্ম নিয়ে খেলার ও বঞ্চনার ফল পাচ্ছে বিজেপি। এদিন বিজয় উল্লাসে শামিল হন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। মানসবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। এটা মানুষের জয়। বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায় বলেন, আমরা লড়াইয়ে আছি। লড়াইয়ে থাকব। আগামী দিনে মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে বাংলা জয় করব। এই ফলাফলের অন্যতম কারণ, ভোট কম পড়েছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প একটা কারণ হতে পারে। তৃণমূল ভালো মনিটরিং করেছে। কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামলকুমার ঘোষ প্রায় চার হাজার ভোট পেয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের সংগঠন খুবই দুর্বল। ১৮বছর পর আমাদের দল প্রার্থী দিয়েছিল। তবে গত নির্বাচনের চেয়ে ভোট বেড়েছে। সিপিআই প্রার্থী মণিকুন্তল খামরুই বলেন, মানুষের কাছে প্রচারে গিয়ে ভালোই সাড়া পেয়েছিলাম। কিন্তু ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়েনি। পর্যালোচনা করতে হবে। - নিজস্ব চিত্র