কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
এদিন ফল প্রকাশের পরই তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে। সিমলাপাল মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের গণনা কেন্দ্র থেকে জেলা সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীকে নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু বের হতেই কর্মীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
এই কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও এদিন সকাল পর্যন্ত শাসক শিবিরে চাপা টেনশন ছিল। তবে প্রথম রাউন্ড গণনার শেষে দলের প্রার্থী হাজার তিনেক ভোটে এগিয়ে যেতেই তৃণমূল নেতা কর্মীরা চাঙ্গা হন। দুপুরে তৃণমূলের লিড ১০ হাজার পার হতেই শাসক দলের কর্মীরা অকাল হোলিতে মাতেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হওয়া শাসক দলের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে সবুজ আবিরে রাঙিয়ে দেন। চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর তাসা পার্টি নিয়ে সিমলাপালে বিজয় মিছিল বের হয়। তৃণমূল কর্মীরা জয়ী দলীয় প্রার্থীকে কাঁধে তুলে নেন। তাঁকে পরিয়ে দেওয়া হয় জয়মাল্য। জনসমুদ্রে ভাসেন ফাল্গুনী, অরূপবাবুরা।
এদিন সকাল থেকে বিজেপি-র ক্যাম্প অফিসেও দলের নেতাকর্মীরা ভিড় জমান। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড় ক্রমশ পাতলা হতে শুরু করে। তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ৩০ হাজার পার হতেই শিবির ফাঁকা হয়ে যায়। গুটিগুটি পায়ে বিজেপি কর্মীরা বাড়ির পথ ধরেন। তারইমধ্যে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকারের গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূল কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। দেওয়া হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। ঘটনায় ক্ষুব্ধ সুভাষবাবু বলেন, তৃণমূলের এটাই সংস্কৃতি। ওদের মুখে বাংলাদেশের স্লোগান ছিল। তৃণমূলকে ওদেশেই পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। অরূপবাবু পাল্টা বলেন, সুভাষ সরকার প্রচার পেতেই ভিড়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা বাংলার সংস্কৃতি মেনে চলি। বিজেপি অপ-সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী।
উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু পেয়েছেন ৯৮,৯২৬ ভোট। বিজেপি প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী ৬৪৮৪৪ ভোট পেয়েছেন। সিপিএম প্রার্থী দেবকান্তি মোহান্তি ১৯৪৩০ ও কংগ্রেস প্রার্থী তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী ২৮২২ ভোট পেয়েছেন। জয়ের পরই সবুজ আবিরে ভাসে জঙ্গলমহল। ফাল্গুনীবাবু বলেন, বাংলার প্রতি বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করেছে। বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা ও অপপ্রচার চালিয়েছে। সেই সবের বিরুদ্ধে তালডাংরাবাসী রায় দিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী বলেন, বিজেপি কর্মীরা লড়াই করেছিলেন। মানুষের রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। দেবকান্তিবাবু বলেন, আমাদের ভোট বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি।
বামেরা আগামী দিনেও মানুষের পাশে একইভাবে থাকবে। তুষারবাবু বলেন, কংগ্রেস একা লড়াই করেও মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছে। - নিজস্ব চিত্র