কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল বলেন, আমরা এর আগে মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামের যোগাদ্যা মন্দির থেকেও বাস চালু করেছি। এবার অট্টহাস থেকেও সিএনজি বাস পরিষেবা চালু করা হল। এবার আমরা দেড়শো সিএনজি বাস নামাতে চলেছি। তাছাড়া দুর্গাপুরে ইলেকক্ট্রিক চার্জিং স্টেশন করছি। তারপরে আমরা ইলেকক্ট্রিক বাসও রাস্তায় নামাব।
কেতুগ্রামে এদিন বাসটির উদ্বোধন করেন বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজ ও এসবিএসটিসি এর চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরা। এই বাসটি অট্টহাস থেকে প্রতিদিন ভোর পাঁচটার সময় কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। আর ধর্মতলা থেকে দুপুর ১২টা নাগাদ অট্টহাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এর আগে ২০২১ সালে নভেম্বর মাসে অট্টহাস মন্দির থেকে কলকাতা পর্যন্ত একটি বাস চালু করেছিল এসবিএসটিসি। কিন্তু সেই বাসটি কয়েক মাস চলার পরেই বন্ধ হয়ে যায়। তার মূল কারণ ছিল নিরোল বাসস্ট্যান্ড থেকে অট্টহাস, দক্ষিণডিহি গ্রামে যাওয়ার রাস্তাটি সঙ্কীর্ণ ছিল। তাই বাস ঢুকতে সমস্যা হতো। সেই সমস্যা এখন এখন আর নেই। মঙ্গলকোটের সতীপীঠ ক্ষীরগ্রামের যোগাদ্যা মন্দির থেকে বাসটি ক্ষীরগ্রাম থেকে ভাতার, বর্ধমান হয়ে কলকাতার ধর্মতলা পর্যন্ত যায়। পাশাপাশি এদিন কেতুগ্রামের সতীপীঠ অট্টহাস থেকেও বাস পরিষেবা চালু হল। বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজ বলেন, সারাবছরই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটক আসেন। তাছাড়া কলকাতা থেকেও বহু পর্যটক আসেন। তাই সরকারি বাস পরিষেবা চালু হলে মানুষজন উপকৃত হবেন। পাশাপাশি আমরা বাহুলক্ষ্মীতলা থেকে অট্টহাস মন্দির যাওয়ার একটা বিকল্প রাস্তা করছি।
কাটোয়া মহকুমার মোট চারটি সতীপীঠ রয়েছে। ইংরাজি নতুন বছরের শুরুতেই সতীপীঠ গুলিতে ভিড় উপচে পড়ে। বিশেষ দিনে দেবী মাকে দর্শনের পাশাপাশি বিশেষ পুজোপাঠেরও আয়োজন করা হয়। পুজো দেওয়া ছাড়াও সতীপীঠ চত্বরে পিকনিকের আনন্দে মাতেন পর্যটকরা। মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে মা যোগাদ্যা সতীপীঠ তার মধ্যে অন্যতম। এখানে দেবীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল পড়েছিল। কেতুগ্রামের অট্টহাসে রয়েছে অট্টেশ্বরীর মন্দির। এখানে দেবীর অধঃ ওষ্ঠ পড়েছিল। মঙ্গলকোটে আর একটি সতীপীঠ হল কোগ্রামে দেবী মঙ্গলচণ্ডী। এখানে দেবীর বাঁ হাতের কনুই পড়েছিল। এখানে কালীপুজোর সময় শক্তির আরাধনা করা হয়। পাশাপাশি কোগ্রামে অজয় নদের বাঁকে কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বসত ভিটে দেখতে পর্যটকরা যান। কেতুগ্রামের আর একটি সতীপীঠ বাহুলক্ষ্মীতলাতেও প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। এখানে দেবীর বাম বাহু পড়েছিল। সতীপীঠ গুলির সঙ্গে সহজে যোগাযোগের জন্য এসবিএসটিসি বাস চালু করায় এলাকার পর্যটনশিল্প উন্নত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।