ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
বছর দশেক পর উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস পরিবর্তন হয়েছিল। নয়া সিলেবাসে প্রথম সেমেস্টারের (একাদশ শ্রেণি) পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে সম্প্রতি। দ্বিতীয় সেমেস্টারের সিলেবাসের রূপরেখা থাকলেও তা পূর্ণাঙ্গ আকারে প্রকাশিত হয়নি। তাই বইও তৈরি করা যায়নি। প্রথম সেমেস্টারের সিলেবাস এবং দ্বিতীয় সেমেস্টারের সিলেবাসের অংশবিশেষ দেখেই অবশ্য
আপত্তি উঠেছিল। এই অবস্থায় মূলত বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাসে বদল আনার কথা ভাবা হচ্ছে। ‘শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠনের তরফে সবচেয়ে বেশি আপত্তি উঠেছিল সিলেবাস নিয়ে। তারা প্রাথমিকভাবে দাবি করে, বাংলা এবং ইংরেজির গল্প, গদ্যাংশ, কবিতা এবং নাটকগুলি অনেকাংশেই অপ্রাসঙ্গিক। প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়াদের জন্য সেগুলি বেশ কঠিন। তারা আরও জানায়, মূলত শহরকেন্দ্রিক পড়ুয়াদের কথা ভেবে এই সিলেবাস তৈরি হয়েছে। রয়েছে বেশ কিছু ভুলভ্রান্তিও। প্রাথমিক প্রস্তাব পাওয়ার পর সংসদ আরও বিশদে প্রস্তাব চেয়ে পাঠায়। সংগঠনটির তরফে তখন বিকল্প নাটক, গল্পের উল্লেখ সহ বিস্তারিত প্রস্তাব পাঠানো হয়। ইতিহাসের সিলেবাস নিয়ে সংগঠনটির বক্তব্য, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ঘটনাপরম্পরা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা খেই হারিয়ে ফেলবে তো বটেই, সেই সঙ্গে সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করাও কঠিন হবে। ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়েও তাদের একই বক্তব্য।
শিক্ষামহলের একাংশের বক্তব্য, সিলেবাস নিয়ে মূল আপত্তির জায়গা চারটি। কিছু কিছু অধ্যায় নীরস, কঠিন, অপ্রাসঙ্গিক এবং এতটাই বিস্তৃত যে তা পড়ে এবং পড়িয়ে শেষ করা কঠিন। শিক্ষাবিদদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন সিলেবাস শেষ করার সময় বিভাজন নিয়েও। কোনও একটি বিষয়ে নির্দিষ্ট মার্কসের সিলেবাস শেষ করার জন্য যে সময় (ঘণ্টা হিসেবে) দেওয়া হয়েছে, অন্য বিষয়ের ক্ষেত্রে তা হয়তো অর্ধেক বা দ্বিগুণ। সেমেস্টার ভেদেও সময়ের এই হেরফের রয়েছে। তাই দাবি উঠেছে, সিলেবাসের পাশাপাশি সময় বিভাজন নিয়েও ভাবতে হবে সংসদকে। সিলেবাস পরিবর্তন নিয়ে আরও একটি বিষয় ভাবাচ্ছে শিক্ষামহলকে। এবছর যেভাবে বহু বিষয়ের বই ছাড়াই প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা দিতে হয়েছে পড়ুয়াদের, পরবর্তীতেও তেমন সমস্যা হবে না তো! তাই দ্রুত বইপ্রকাশের দাবিও জোরালো হচ্ছে।