ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
এখন রাজ্যের কৃষি বিপণন ও কৃষি দপ্তরের সচিব ওঙ্কার সিং মিনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওঁর উপর বেশি চাপ পড়ে যাচ্ছে। তাই বিভাগীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়টা দেখবেন। অবিলম্বে সরকারি টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষি ও পঞ্চায়েত দপ্তরকে ভালোভাবে কাজ করার উপর আরও নজর দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু বক্তৃতায় যে কাজ হবে না, তাও পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি। এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব এবার থেকে মিনার পরিবর্তে বেচারামই সামলাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের বৈঠকের শুরুতেই আলুর দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গটি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত এক সরকারি পদস্থ কর্তা উত্তরপ্রদেশে আলুর দাম বেড়েছে বলে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তা নস্যাৎ করে দেন। তিনি বলেন, রাজ্য অনুযায়ী পরিস্থিতি আলাদা হয়। বাংলা আলু ও চাল উৎপাদনে প্রথম। এখানে দাম এত বাড়বে কেন? ব্যবসা করার জন্য? আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, রাজ্যের মানুষ খাওয়ার পর যা থাকবে সেটাই অন্য রাজ্যে পাঠানো যাবে। ১ লক্ষ টন করে আলু পাঠানোর অনুমতি দেওয়াও হয়েছিল। জানুয়ারিতে নতুন আলু আসবে। কিন্তু এত আলু কীভাবে বাইরে চলে গেল! সেই ব্যাপারে প্রশাসনিক শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে রীতিমতো জবাবদিহি দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এই ব্যাপারে তাঁকে কিছু জানানোও হয়নি। আলু উদ্বৃত্ত থেকে গেলে তা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও স্কুলের মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য সরকার কিনবে বলে আশ্বাস দেওয়ার পরেও বাইরে আলু পাঠিয়ে দেওয়া হল! রাজ্যে আলু ও পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার নানাভাবে টাকা খরচ করছে। এসব সুবিধা নেওয়ার পরেও দাম কেন বাড়বে, সেই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বৈঠকে বলেন, রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৭ লক্ষ টন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের পেঁয়াজের ৫০ শতাংশ তো বাইরেই চলে গেল!
এদিকে আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনও প্রায় ৯ লক্ষ টন আলু হিমঘরে মজুত আছে। তাঁর দাবি, নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের পর হিমঘর থেকে বেরনো আলুর দাম বাড়েনি। মূলত খুচরো বাজারে দাম বাড়ছে। ৩০ নভেম্বরের পর রাজ্য সরকার হিমঘর বন্ধ করার নির্দেশ জারি করেছে। এতে জানুয়ারি পর্যন্ত আলু রাখতে সমস্যা হবে। রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, সরবরাহ বৃদ্ধির পর পাইকারি বাজারে গত কয়েকদিনে পেঁয়াজের দাম কমেছে। পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম হয়েছিল ৫৮ টাকা। এখন তা ৪২ টাকায় নেমে এসেছে।