ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
ট্যাব মামলায় রাজ্য পুলিসের যৌথ তদন্তকারী দল এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। জেলাজুড়ে কেসের সংখ্যা ১৪০টি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারছেন, তারা এই জেলা ছাড়াও ঝাড়গ্রাম ও উত্তরবঙ্গের একাধিক স্কুলের ট্যাবের টাকা হাতিয়েছে। তাদের মাথায় রয়েছে চোপড়ার এক বাসিন্দা। সে পুরো গ্যাংটা নিয়ন্ত্রণ করছে। পলাতক ওই অভিযুক্ত বিভিন্ন স্কুলের মেল আইডি ও পাসওয়ার্ড তাদের দিয়েছিল। এরপর সেগুলি হ্যাক করে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করে। যে সমস্ত অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে, সেগুলি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট থেকে নথি জোগাড় করে এই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়। পাশাপাশি চোপড়া, ইসলামপুরের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের বলা হয়, বিদেশে থেকে কিছু টাকা আসবে তাদের অ্যাকাউন্টে। এরজন্য কমিশন দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, দশ হাজার টাকা জমা পড়লে তাদের দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হতো। ধৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইসলামপুর ওমর ফারুক ও জুলফিকার আলিকে গ্রেপ্তার করে। তমলুকে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হওয়া মনসুর আলমের সঙ্গে জুলফিকারের যোগাযোগ ছিল। জুলফিকার ও ফারুক নিজের অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার সঙ্গে অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করিয়েছে। এরজন্য ভালো টাকা কমিশন পেয়েছে তারা।
তদন্তে উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুরের দলটির সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের গ্যাংটির কোনও যোগাযোগ নেই। তাদের মধ্যে যোগাযোগ ও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। পূর্ব বর্ধমানের গ্যাংটি আরও বেশ কয়েকটি জেলায় টাকা হাতিয়েছে। এছাড়াও আরও একাধিক চক্রের সন্ধান পাচ্ছে পুলিস। এখান থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান আলাদা আলাদাভাবে একাধিক গ্যাং সক্রিয়। ২০২২তে আধার প্রতারণায় কলকাতা পুলিসের হাতে ধরা পড়া ও পরে জামিনে মুক্ত বেশ কয়েকজন এই দলে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে সমস্ত গ্যাংয়ের সঙ্গে বাবরের যোগাযোগের প্রমাণ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। কীভাবে স্কুলের ট্যাবের হাতাতে হবে, এই প্রশিক্ষণ তারই দেওয়া। সেইমতো টাকা সরানো হয়েছে।