ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
রাজ্য পুলিস সূত্রের খবর, বিহার ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলি দিয়ে ঢুকছে নাইন এমএম, সেভেন এমএম-সহ বিভিন্ন ধরনের বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র। মূলত মুঙ্গের থেকে আসা এই আর্মস মিডলম্যান মারফত পৌঁছে যাচ্ছে এরাজ্যের বেআইনি অস্ত্র কারবারিদের কাছে। তাদের হাত ঘুরে সেগুলি পৌঁছচ্ছে মাফিয়াদের ডেরায়। বিভিন্ন জেলায় সামান্য টাকাতেই মিলছে নানা ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র। এর বেশিরভাগটাই ব্যবহৃত হচ্ছে জমি এবং ভেড়ি দখলের অপরাধে। প্রোমোটিং সিন্ডিকেটের লোকজনই মুঙ্গেরের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে। ২০ থেকে ৪০ হাজারে বিকোনো এই আর্মস কিনে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের দুর্বৃত্তরা। সুশান্ত ঘোষ কাণ্ডের পরই, বিভিন্ন জেলায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা ও ঢোকা যেকোনোভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্য পুলিসের কর্তারা। তাঁদের মত, না-হলে এই সমস্যা আগামী দিনে আরও মারাত্মক আকার নেবে। তার ভিত্তিতে সমস্ত জেলার পুলিস সুপার এবং কমিশনারেটগুলির কর্তাদের কাছে নির্দেশ যায়, অস্ত্র উদ্ধারে এখনই জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিই নেওয়া হয়েছে। তারপরই ১৮ ও ১৯ নভেম্বর রাজ্যজুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে তল্লাশি শুরু হয়। রাজ্য পুলিস সূত্রের খবর, এই অভিযানে মিলেছে ৭৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭৩টি কার্তুজ। উদ্ধার হয়েছে ১৫টি তাজা বোমা। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত এবং দীর্ঘদিন পলাতক এমন ৩৪২ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি নানা ঘটনায় পাকড়াও করা হয়েছে আরও ১০,১২৮ জনকে।