উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
এদিন নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের চিঠি জমা করতে এসেছিলেন সংসদে দুই কক্ষের তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। সঙ্গে আরও তিন সাংসদ কীর্তি আজাদ, সুস্মিতা দেব এবং সাকেত গোখলে। সেই চিঠিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে। লেখা হয়েছে, রাজ্য পুলিসকে সঙ্গে নিয়েই এলাকা পরিদর্শনের কথা কেন্দ্রীয় বাহিনীর, কিন্তু তারা তা করছে না। কেন? কেন এলাকার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের? সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিজেপির হয়ে প্রচার করছে। বিজেপিকে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছে। মহিলাদের সঙ্গে দুব্যর্বহারও করা হচ্ছে বলেও অভিযোগের পারদ চড়িয়েছে তৃণমূল।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ তিন কমিশনারের কেউই এদিন অফিসে ছিলেন না। অথচ তাঁদের কাছে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়েছিল বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। কমিশনাররা কেউ না থাকায় অগত্যা কমিশনের অভ্যর্থনা কক্ষে লিখিত অভিযোগ জমা করেন সুদীপ-ডেরেক। লোকসভায় চতুর্থ বৃহত্তম দল তৃণমূল। তাই কমিশনাররা দেখা না করায় ক্ষোভ উগরে দেন দলের সাংসদরা। ক্ষুব্ধ সুদীপবাবু বলেন, ‘ভোট চলছে। আর এই সময়ে কমিশনের অফিস ফাঁকা। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো নয়।’ এরপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। বলেন, নির্বাচন কমিশনের লিখিত গাইডলাইনে স্পষ্ট বলা আছে, ভোট পর্ব না মেটা পর্যন্ত স্থানীয় ভাষা এবং রাস্তাঘাট বোঝার জন্য রাজ্য পুলিসকে সঙ্গে নেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বাংলায় তা মানা হচ্ছে না। বিজেপির হয়ে প্রচার করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিজেপি নেতাদের সঙ্গেই ঘুরছে। বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত কমিশনের।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধেও নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। জানানো হয়েছে, উপ নির্বাচনের প্রচারে পুলিসকে টুপি আর জামার কাঁধে অশোকস্তম্ভ খুলে হাওয়াই চটির প্রতীক লাগানোর কথা বলেছেন সুকান্তবাবু। সুদীপবাবুর সওয়াল, উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে জাতীয় স্তম্ভকে অপমান করেন কী করে? কমিশন তো বটেই, প্রধানমন্ত্রীর উচিত এব্যাপারে সক্রিয় হয়ে সুকান্তকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা।