উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
সূত্রের খবর, জালিয়াতদের অ্যাকাউন্টে ‘ট্যাব’ কেনার টাকা যাওয়াতেও বিরাট অবাক হননি তদন্তকারীরা। কিন্তু সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বাধর্ক্য ভাতা, কৃষকবন্ধুর টাকাও জমা পড়েছে দেখে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। কারণ, পডুয়াদের অ্যাকাউন্টে এসব সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অনুদান যাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আর সেই কারণেই তদন্তকারীদের অনুমান, এই কেলেঙ্কারির নেপথ্যে রয়েছে পেশাদার কোনও গ্যাং। না হলে একের পর এক সরকারি প্রকল্পের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে পাচার হবে কীভাবে? সাইবার অপরাধে যুক্ত পেশাদাররাই গোটা কাণ্ডের নেপথ্যে, এই সম্ভাবনা প্রবল হতে তোলপাড় শুরু হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় পড়ুয়াদের প্রাপ্য টাকা লোপাটের ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে দেওয়া হচ্ছে।
তদন্তকারীরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা ‘লোপাট’-এর ঘটনায় ২০০টিরও বেশি ‘অবাঞ্ছিত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট’ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ৮০টি অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬৪টিতে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পড়ুয়াদের টাকা। এই অ্যাকাউন্টগুলির অধিকাংশই ঝাড়খণ্ড, বিহার, রাজস্থানের মতো ভিন রাজ্যের। তবে বাংলার মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও নদীয়া জেলাতেও এমন কিছু অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, যে কায়দায় সরকারি পোর্টালে ঢুকে পড়ুয়াদের হকের টাকা লোপাট করা হয়েছে, তার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, রাজস্থানের আলওয়ার এবং বিহারের গয়া গ্যাংয়ের ‘মোডাস অপারেন্ডি’র যথেষ্ট মিল রয়েছে।
এই পর্বে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া-অশোকনগর এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টেও হানা দিয়েছে জালিয়াতরা। এই এলাকায় শুক্রবার পর্যন্ত মোট ন’জন ছাত্রীর ‘ট্যাব’ কেনার টাকা লোপাটের ঘটনা সামনে এসেছে।
তদন্তে নেমে পুলিসের নজরে এসেছে উত্তর দিনাজপুর জেলাও। তদন্তকারীরা বলছেন, ২০২২ সালে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা গায়েব হওয়ার একটি মামলার তদন্তভার নিয়েছিল কলকাতা পুলিস। উত্তর দিনাজপুর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দুই সাইবার জালিয়াতকে। তারা এখন জামিনে মুক্ত। রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ট্যাবের টাকা লোপাটের ঘটনা সামনে আসতেই সেই মামলার কথা মনে পড়েছে তদন্তকারীদের। নবান্ন এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে ওই মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র চাওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিসের কাছে। পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের কোনও স্কুলে পড়ুয়াদের সঙ্গে ট্যাবের টাকা সংক্রান্ত কোনও জালিয়াতি হয়েছে কি না, সেই রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।