প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
যাত্রীরা বলেন, রেলমন্ত্রক স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণ করছে। নতুন নতুন ট্রেন আনছে। কিন্তু, যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে তাদের হুঁশ নেই। কীভাবে এই ঘটনা হল, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। যদিও রেল প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ঝাপানডাঙা স্টেশনের কাছে মালগাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল। দুর্ঘটনার কোনও আশঙ্কা ছিল না। অটোমেটিক সিগন্যাল সিস্টেমে ট্রেন চলে। সিগন্যাল না পেয়ে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পরই বিকল ইঞ্জিনটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। শন্তিনিকেতন এক্সপ্রেসও গন্তব্যে পাড়ি দেয়। নির্দিষ্ট সময়ের পরই ট্রেনটি বোলপুর পৌঁছয়।
যাত্রীরা বলেন, আচমকা ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। কী হয়েছে, তা অনেকেই বুঝতে পারেননি। কিন্তু, পরে যাত্রীরা রেল লাইনে নেমে দেখতে পান, সামনে মালগাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। মুহূর্তে সে খবর প্রতিটি কামরায় ছড়িয়ে যায়। যাত্রীরা আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে নামতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। ট্রেনের আরএক যাত্রী প্রতাপ দাস বলেন, মালগাড়ির ইঞ্জিন বিকল হওয়ার খবর আধিকারিকদের কাছে আগেই ছিল। তারা ট্রেনটি কোনও স্টেশনে দাঁড় করাতে পারত। তা না করে মালগড়ি থেকে কিছুটা দূরে ট্রেন দাঁড় করানো হয়। আদৌ মালগড়ির ইঞ্জিন বিকলের খবর রেলের কাছে ছিল কি না, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ট্রেন চালকের উপস্থিত বুদ্ধির জোরেই দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। তিনি সময় মতো ট্রেন দাঁড় না করালে বহুজনের প্রাণহানি হতে পারত। এর আগে এধরনের ঘটনা হয়েছে। যাত্রী সুরক্ষায় রেলের আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে তাঁদের দাবি।
রেল জানিয়েছে, গুড়াপ স্টেশন পার হওয়ার পর মালগাড়ির ইঞ্জিনের সমস্যা দেখা যায়। ১০.৫৫মিনিট নাগান গুড়াপ এবং জৌগ্রাম স্টেশনের মাঝে মালগাড়িটি থেমে যায়। ১২ টা ৩২মিনিট নাগাদ ইঞ্জিনটি সরানো হয়। ১০.৫৫ থেকে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস দঁড়িয়েছিল। মালগাড়িটি সরানোর পর ট্রেনটি রওনা দেয়।