সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
তীব্রতার নিরিখে ‘ডানা’র তুলনায় কিছুটা হলেও বেশি শক্তিশালী ছিল ‘যশ’। সেটি খুব তীব্র মাত্রার (ভেরি সিভিয়ার) ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূল অতিক্রম করেছিল। আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, ‘যশ’ আছড়ে পড়ার সময় ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৫৫ কিলোমিটার ছুঁয়েছিল। সেই জায়গায় ‘ডানা’ তীব্র (সিভিয়ার) মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূল অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঝোড় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে ‘ডানা’ আছড়ে পড়ার সময় তীব্রতা আরও বাড়াবে কি না, সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি বাতিল করছেন না আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা এইচ আর বিশ্বাস জানিয়েছেন, দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। ২০২০ সালের মে মাসে যে ‘উম-পুন’ ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে (সাগরদ্বীপের কাছে) আছড়ে পড়েছিল, সেটি অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। ‘উম-পুন’-এর প্রভাবে সমুদ্রে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছিল। অর্থাৎ সেটি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। তবে উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে সেটির তীব্রতা কিছুটা কমে যায় এবং অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (এক্সট্রিমলি সিভিয়ার) পরিণত হয়। চলতি বছর মে মাসে ধেয়ে আসা ‘রেমাল’ ঘূর্ণিঝড়ের যে তীব্রতা ছিল, ‘ডানা’র ক্ষেত্রেও তা সেরকমই থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।