সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
গত ২৫ জুলাই রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে একটি চিঠি দেন ‘মনরেগা’র ডিরেক্টর অদিতি সিং। সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদহ ও জিটিএ এলাকায় ৪৪টি ভুয়ো কাজের জন্য রাজ্যকে ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা পুনরুদ্ধার করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সরঞ্জাম (নন ওয়েজ) এবং মজুরি (ওয়েজ) বাবদ খরচ। তবে রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য মেনে নেয়নি। কারণ, যেসব ক্ষেত্রে কেন্দ্র অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে, রাজ্যের তথ্যভান্ডার বা এমআইএস ডেটা অনুযায়ী সেখানে সরঞ্জাম ও মজুরি মিলিয়ে খরচ হয়েছিল সাড়ে চার কোটির সামান্য বেশি টাকা। এর মধ্যে সরঞ্জাম বাবদ খরচ হয়েছিল ২ কোটি ২০ লক্ষের কিছু বেশি টাকা। কেন্দ্রের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ৫ কোটি ৩৭ লক্ষের মধ্যে ১ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা পুনরুদ্ধার করে কেন্দ্রকে দিয়েছে রাজ্য। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্র যাতে নতুন করে কোনও অজুহাত সামনে আনতে না পারে, তার জন্য সম্প্রতি বিতর্কিত অংশের কাজের সরঞ্জাম বাবদ খরচের বাদবাকি অর্থও উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কোষাগারে। তবে মজুরি বাবদ খরচ হওয়া টাকা উদ্ধারের বিষয়টি কেন্দ্রের উপরই ছেড়ে দিয়েছে রাজ্য। কারণ, এই কাজের সঙ্গে ১০ হাজারের বেশি জবকার্ড হোল্ডার যুক্ত ছিলেন। মূলত, ২০১৯ সালের আগে এই কাজগুলি হয়েছিল। এতদিনে সেই কর্মীদের অনেকে মারা গিয়েছেন। কারও ঠিকানা বদল হয়েছে। এই অবস্থায় মজুরির টাকা উদ্ধারের উপায় বাতলে দিতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে রাজ্য। সেই সঙ্গে পুরনো বকেয়া মিটিয়ে ২৭ নম্বর ধারা তুলে নেওয়ার আর্জিও ফের জানানো হয়েছে।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বক্তব্য, ‘অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ হয় বাংলায়। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে বাংলার টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের অনিয়ম অন্যান্য রাজ্যে অনেক বেশি। যাই হোক, আমরা কেন্দ্রের দাবি মতো টাকা উদ্ধার করে ফেরত দিলাম। আর কোনও অজুহাত তৈরি করা উচিত নয় কেন্দ্রের।’