সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
আর জি কর, এসএসকেএমের ওপিডিতে এদিন ব্যাপক ভিড় ছিল রোগীদের। এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজিতে ৯ জন ডাক্তার রোগী দেখেছিলেন বলে খবর। এছাড়া অন্যান্য বিভাগেও পর্যাপ্ত ডাক্তার ছিল। আর জি করের ওপিডির গেট এদিন খোলা ছিল। রাস্তায় লেখা স্লোগান বৃষ্টিতে আর লোকের পায়ে প্রায় উঠে গিয়েছে। তবে আর জি কর জুড়ে ব্যাপক পুলিসি নিরাপত্তা এদিনও চোখে পড়ল। এই হাসপাতালের অবস্থান মঞ্চ এখনও অটুট। সাদা বোর্ডে বিচারের অপেক্ষার কাউন্টডাউন চলছে। তবে এসএসকেএমের অবস্থান মঞ্চের কঙ্কালসার চেহারা। ওই অবস্থান মঞ্চের পাশ দিয়ে রোগীরা হেঁটে যাওয়ার সময় কেউ একটু দাঁড়াচ্ছেন। কেউ অন্যজনকে দেখিয়ে দিচ্ছেন, এখানেই ডাক্তারদের অবস্থান চলছিল। মুর্শিদাবাদ থেকে বাবাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন মহম্মদ আলম। বলছিলেন, ‘আমরা খবর দেখতাম, এখানে আন্দোলন চলছে। এখন নিজের চোখে দেখছি। আমরা তো সকলেই চেয়েছিলাম, যাতে সবটা মিটে যায়। এখন সরকারের হস্তক্ষেপে সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। এটাই ভালো। আমরাও নিশ্চিন্ত।’
হাসপাতালের অবস্থান মঞ্চের মতোই আন্দোলনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোর একই অবস্থা। আর খবর নেই জমায়েতের। আর কেউ জিজ্ঞেসও করছেন না, কোথায় কখন আন্দোলন রয়েছে। এখন শুধু আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট আসছে সেখানে। আর ইতিউতি রাজনৈতিক ঝগড়া।
এসএসকেএম হোক বা আর জি কর কিংবা বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স, সর্বত্র রোগীদের চেনা ভিড় দেখা গেল। সকাল থেকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত থিকথিকে ভিড়। হাওড়া থেকে এসএসকেএমে এসেছিলেন শঙ্কর সর্দার। ভাঙা অবস্থান মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে বাচ্চা মেয়েকে কোলে নিয়ে বলছিলেন, ‘মেয়েটিও বিচার পাক। আর আমরাও পরিষেবা পাই। ওই মেয়েটির খবর শুনে আমাদের সকলের খারাপ লেগেছিল। আবার রোগী ভোগান্তির খবরও মন খারাপ করে দেয়।’