চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
আজ, পঞ্চমী। কলকাতার বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে দর্শক সমাগম রেকর্ড হবে, এমনটাই মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁদের বক্তব্য, গত শনি ও রবিবার যে ভিড় হয়েছে, তাতে আজ পঞ্চমী থেকে উৎসবমুখর জনতার ছবিটা আরও বড় পরিসরে ধরা দেবে। সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টা নাগাদ কলেজ স্কোয়ার প্রাঙ্গণে প্রতিমা দর্শনে ঠাসা ভিড়ের ছবি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভিড় এতটাই বাড়ছিল যে, পিছনের গেটটা তখন প্রবেশের জন্য বন্ধ করে দেয় পুলিস।
সেখানে দাঁড়ানো পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা বিকাশ মজুমদার বলেন, সব বয়সের মানুষের সমাগম দুপুর থেকেই হচ্ছে। আর সন্ধ্যা বাড়লেই তা জনপ্লাবনের ছবিতে পরিণত। মানুষ উৎসবমুখর এটাই বলছে জনসমাগমের ছবিটা। প্রায় একই সুরে হাতিবাগান সর্বজনীন পুজো কমিটির কর্তা শাশ্বত বসু বলেন, মানুষ উৎসবে মেতে উঠেছেন। যাঁরা উৎসব নিয়ে কটাক্ষ করছেন, তাঁরা সন্ধ্যাবেলায় একবার প্যান্ডেলের সামনে দাঁড়িয়ে দেখে যান বাস্তব ছবিটা।
উত্তরের মতো পুজোয় জন জোয়ারের চেনা ছবিটা চোখে পড়েছে দক্ষিণ কলকাতাতেও। গড়িয়াহাট মোড় থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত সেরা পুজো কমিটিগুলি চমকদার থিম নিয়ে হাজির। আর তা দেখতেই মানুষের উন্মাদনার চেনা ছবিটা ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সিংহীপার্ক পুজো কমিটির উদ্যোক্তা অভিজিৎ মজুমদার বলেন, মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন। সব বয়সের মানুষই পুজোপ্রাঙ্গণে মাতৃপ্রতিমাকে প্রাণ ভরে দর্শন করছেন।
বাদামতলা আষাঢ় সংঘের কর্তা সন্দীপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, বেলা ১১-১২টা থেকে স্কুল, কলেজের পড়ুয়ারা আসছেন। দুপুরের দিকে প্রবীণ মানুষের পুজোপ্রাঙ্গণে আসতে দেখা যাচ্ছে। আর সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মধ্য বয়সিদের সমাগম।
অন্যদিকে, সিপিএমের একাধিক নেতা আওয়াজ তুলেছিলেন এবার উৎসবে ‘না’। কিন্তু শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণের নানা প্রান্তে পুজো প্যান্ডেলের কাছেই সিপিএমের স্টল চোখে পড়েছে। এনিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ, পুজোয় বাজার-অর্থনীতিকে ধ্বংস করার সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে সিপিএম। তারাই আবার পুজো কমিটির সামনে স্টলও দিচ্ছ! এতেই খোলসা হয়ে যাচ্ছে সিপিএমের ‘বহুরূপী চরিত্র’।