ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
আর জি করের সেমিনার হল প্রকৃত অকুস্থল (পি ও) কি না, তাই নিয়ে প্রথম থেকে সংশয় রয়েছে সিবিআইয়ের। সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে, সেমিনার হলে সকাল সাড়ে ছ’টায় সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ডাক্তারের উপস্থিতি। কিন্তু তাঁরা অত সকালে কেন? এর সূত্র খুঁজতে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের মোবাইলের কল লিস্ট ও টাওয়ার লোকেশন তদন্তকারীদের হাতিয়ার হয়। দেখা যায়, সেমিনার হলে সকাল সাড়ে ছ’টায় উপস্থিত চিকিৎসকদের কাছে ভোরবেলা ফোন গিয়েছে সন্দীপের। তারপর তাঁরা হাজির হন আর জি করে। সিবিআইয়ের দাবি সন্দীপের টাওয়ার লোকেশন বলছে ভোর ৪.১০ থেকে ৬.২০ পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ। কল করেছেন হাসপাতালে বসে এই সময়ে। আর যে ডাক্তারদের তিনি ডাকেন, তাঁরা সকলে ছিলেন সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সেমিনার হলে। সেখানে তাঁদের অবস্থান ছিল বেলা সাড়ে ন’টা পর্যন্ত। এই তিন ঘণ্টা সেমিনার হলের সামনের লনে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাতে টেকনিক্যাল ত্রুটি মেলায় সন্দেহ বাড়ে তদন্তকারীদের।
তদন্তকারীদের কথায়, এই সময় তথ্য লোপাট করতে সেমিনার হলে দেহ পরিপাটি করে সাজানোর কাজ চলেছিল। সাড়ে ন’টা নাগাদ নিরাপত্তা রক্ষীর কাছে খবর পেয়ে আউটপোস্টের এএসআই বাবু আসেন। তিনি ঘটনার কথা প্রাক্তন ওসিকে জানালে জি ডি করতে বলা হয়। সেইমতো তাঁর লেখা জিডিতে বলা হয়েছে, তিনি সেমিনার হলে গিয়ে ১২-১৫ জন ডাক্তারকে দেখেছিলেন। সেই ফুটেজ সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই চিকিৎসকরা কেন গিয়েছিলেন এবং কি করছিলেন জানতে ৯ জনকে ডেকে জেরা করা হয়েছে। এর মধ্যে কারা তথ্য প্রমাণ লোপাটের কাজে জড়িত, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। সন্দীপ বিরোধী গোষ্ঠীর এক জুনিয়র চিকিৎসক দশটার পর সেমিনার হলের ছবি তুলে পরে ভাইরাল করেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে সাড়ে ন’টা পর্যন্ত সেমিনার হলে থাকা চিকিত্সকরা যে তথ্য প্রমাণ লোপাটের মূল কারিগর, তার তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীরা পেয়েছেন বলে দাবি। তাঁদের ডেকে জেরাও করা হয়েছে। সকলেই সন্দীপের দিকে আঙুল তুলে বলেছেন, সবটাই করেছেন ওঁর কথামতো। সাড়ে ন’টার পর সেমিনার হলে আসা চিকিৎসকদের একাংশের যে তথ্য প্রমাণ লোপাটে ভূমিকা আছে, সেটা সিবিআই মনে করছে। তাই তাঁদের বয়ানে কোথায় ফাঁক আছে সেটা দেখা হচ্ছে।