ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
লালবাজার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে কলকাতা পুলিসকে মেল করেন। তাতে জানানো হয় ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন চিকিৎসকরা। সেকারণে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) চান বিক্ষোভকারীরা। শনিবার সকালে তার উত্তর দেয় লালবাজার। যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদ চিকিৎসকদের মেলের জবাবে বলেন, ধর্মতলার ওই অংশে অবস্থান বিক্ষোভের জন্য অনুমতি দেওয়া পুলিসের পক্ষে সম্ভব নয়। তার যুক্তিতে বেশ কয়েকটি কারণ দর্শায় লালবাজার। প্রথমত, ধর্মতলা শহরের কেন্দ্রস্থল। সেখানে অবস্থান মঞ্চ করলে যান চলাচল ব্যাহত হবে। সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হবে। দ্বিতীয়ত, দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে নিউ মার্কেটে প্রচুর মানুষ কেনাকাটি করতে আসেন।ফলে বিরাট যানজট তৈরি হতে পারে। তৃতীয়ত, মণ্ডপের পথে প্রতিমা যাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে ধর্মতলায় যানজট হলে তার প্রভাব গোটা শহরে গিয়ে পড়বে বলে দাবি লালবাজারের। যদিও নিয়ম ভেঙেই মেট্রো চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে পিছু হটেনি আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন দুপুরে হেয়ার স্ট্রিট থানার তরফে একটি মামলা রুজু করা হয়। অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা পুলিস কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার।
চিকিৎসকদের অবস্থান মঞ্চের জেরে যানজট সমস্যা বোঝা গেল শনিবার সন্ধ্যাতেই। বৃষ্টিভেজা শহরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল ধর্মতলা চত্বর। শুধু তাই নয়, তার প্রভাব পড়ল পার্কস্ট্রিট, রবীন্দ্র সদন, এক্সাইড, আলিপুর রোড, উত্তর কলকাতার একাধিক রাস্তা, শিয়ালদহ চত্বরে। এদিন সন্ধ্যায় স্তব্ধ হয়ে যায় মা ফ্লাইওভার। তীব্র ভোগান্তির শিকার হন অফিস ফেরত যাত্রীরা।