চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
আর জি করের দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে, সন্দীপ ঘোষ চক্র গড়ে দুর্নীতির কারবার চালাচ্ছেন। প্রত্যেককে কাজ ভাগ করে দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, মেডিক্যালে পঠনপাঠন সংক্রান্ত বিষয় থেকে অনৈতিকভাবে টাকা তোলার দায়িত্বে ছিলেন এক চিকিৎসক। হাসপাতালের ওষুধ-যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে কীভাবে সরকারি টাকা নয়ছয় করতে হবে, তার দায়িত্ব আলাদা ব্যক্তিকে দেন সন্দীপ। টেন্ডার,বেআইনি পার্কিং সহ অন্য জায়গা থেকে অবৈধভাবে অর্থ তোলার বরাত দিয়েছিলেন নিজের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে। সিবিআই সন্দীপের মেসেজ পরীক্ষা করে জানতে পারে আশিস পান্ডের সঙ্গে ভর্তি, পরীক্ষা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে তাঁর কথাবার্তা হয়েছে। কার কাছ থেকে কত টাকা নিতে হবে, সেই বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে চ্যাটে। এখান থেকেই তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, সন্দীপের তৈরি করা দুর্নীতি সিন্ডিকেটের একটা বড় চাঁই হলো আশিস পান্ডে। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সিবিআইয়ের কাছে জানিয়ে যান, পান্ডে মাধ্যমে বেআইনিভাবে হাউস স্টাফ নিয়োগ চলত। এরজন্য আশিসের কাছে আবেদন করতো হতো। সিবিআই খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারে, এই চিকিৎসক নিজেও বেআইনিভাবে হাউস স্টাফ ছিলেন। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কাজ করছিলেন হাসপাতালে। হাউস স্টাফ নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা তালিকায় উপরের দিকে থাকা ডাক্তারদের বঞ্চিত করতেন আশিস। অভিযোগ, ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মেধা তালিকায় নীচের দিকে থাকা পড়ুয়াদের তিনি আর জি করে হাউস স্টাফ হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিতেন। একইসঙ্গে পরীক্ষা না দিয়ে কেউ এমবিবিএস পাস বা লেটার মার্কস পেতে চাইলে, ডাক্তার পান্ডেকে ধরলেই সব মুশকিল আসান হয়ে যেত বলে এজেন্সি জেনেছে। এক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক ছিল কুড়ি থেকে তিরিশ লক্ষ। অভিযোগ এই টাকা পান্ডে সরাসরি নিতেন। বেশিরভাগ টাকাই পৌঁছে দিতেন সন্দীপকে। এরপরই বৃহস্পতিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়। টাকা নিয়ে হাউস স্টাফের পদ বিক্রির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি জানান, সবকিছু সন্দীপবাবু দেখতেন। তিনি সামান্য একজন হাউস স্টাফের বেশি আর কিছু নন। টাকা নিয়ে এমবিবিএস পাস করানোর চক্র চালানোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গোটা ঘটনা এড়িয়ে যান। তদন্তকারীরা তাঁর সামনে নথি তুলে ধরে দেখান, কারা কত টাকা দিয়েছেন পাস করার জন্য। তার উত্তর তিনি দিতে পারেননি। জেরায় সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। আজ তাঁকে আলিপুরে সিবিআই আদালতে তোলার কথা।