চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
সেই নামের তালিকা দেখে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মতামত জানিয়ে আচার্যর কাছে পাঠাবেন। আর যদি নামের তালিকায় যোগ্যতার ক্রমানুসার দেখে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও আপত্তি থাকে, তবে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তা রাজ্যপালকে পাঠাতে হবে। রাজ্যপাল তথা আচার্য যদি মুখ্যমন্ত্রীর মতামত মেনে নেন, তাহলে সেখানেই বিষয়টির নিষ্পত্তি। আর আচার্য না মানলে, তা সুপ্রিম কোর্টের সামনে আসবে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বা আচার্য তাদের বক্তব্য রাখতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের সামনে বিষয়টি উল্লেখ (মেনশন) করেন আচার্যর আইনজীবী তথা দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেক্টটরামানি। মামলার এদিন শুনানি ছিল না। তবে তিনি বিষয়টি উল্লেখ করে গত ৮ জুলাইয়ের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের সংশোধন চান। আদালত অনুমোদন করে। যদিও এভাবে সংশোধন সঠিক নয় বলেই মন্তব্য করে রাজ্যের পক্ষে সামান্য আপত্তি জানান আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত। বলেন, আমাকেও রাজ্যের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তখন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ১৪ অক্টোবর শুনানি হবে। তখন রাজ্যের যদি কিছু বলার থাকে বলবে।
উল্লেখ্য, উপাচার্য নিয়োগ মামলায় গত ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের ২৪ পাতার নির্দেশে পয়েন্ট নাম্বার ১৮র শেষ লাইনে বলা ছিল, সার্চ অ্যান্ড সিলেকশন কমিটির বাছাই করা প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পছন্দ এক-দুই-তিন করে সাজিয়ে নিতে পারবেন। সেই তালিকা যাবে আচার্যর কাছে। কিন্তু এদিন সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চের সামনে আর বেঙ্কটরামানি বলেন, নির্দেশের এই অংশের জেরে আদতে মুখ্যমন্ত্রীই পুরো ঠিক করবেন কাকে কাকে নিয়োগ করা হবে।
তাঁর বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগকর্তা আচার্য। ফলে তাঁর অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। তাই জটিলতা কাটাতে সার্চ অ্যান্ড সিলেকশন কমিটিই যোগ্যতার ক্রমানুসার সাজিয়ে দিক। তাহলে বিতর্ক থাকবে না। আদালত প্রাথমিকভাবে তা মেনে নিয়েছে।