চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরা, কিংবা স্ট্রেচারে ধুঁকতে থাকা মানুষগুলো টলাতে পারছে না সিদ্ধান্ত। সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তারদের কনভেনশনের পরও সাধারণ মানুষের সুরাহা কিছু হয়নি। উত্সবের আবহে এমনিতেই ডাক্তারদের আকাল থাকে। সেই সময় জুনিয়রদের কর্মবিরতিতে আরও বিপদে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি কর্মবিরতির বয়স প্রায় দু’মাস হতে চলেছে। সিনিয়র চিকিত্সকদেরও বয়স হয়েছে। আর কতদিন ‘ওভারটাইম’ করবেন তাঁরা? এমন প্রেক্ষিতে কনভেনশন থেকে জুনিয়রদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পরামর্শই দিয়েছিলেন সিনিয়ররা। তারপরও পরিস্থিতি বদলায়নি। তাই প্রশ্ন উঠছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই যাঁরা পরোয়া করছেন না, হাইকোর্টের মামলায় তাঁদের কি নড়ানো যাবে? মামলাকারী রাজু ঘোষের দাবি, ‘আগেই জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তারপরও কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন তাঁরা। এতে মানুষের ভোগান্তি তো হচ্ছেই, আদালতের অবমাননাও হচ্ছে। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তোলার জন্য রাজ্যকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিক আদালত।’ মামলাকারীর আইনজীবী তৌসিফ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘আইনের বাইরে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা এটা করতে পারেন না।’ একদিকে আজ, শুক্রবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা, অন্যদিকে দিল্লি থেকে ধেয়ে আসা ‘অস্বস্তি’। সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবীরাও চিকিত্সকদের পূর্ণ কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। জুনিয়রদের নাকি ইতিমধ্যেই কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য বার্তা পাঠানো হয়েছে। কেন? কর্মবিরতি তাঁরা চালিয়ে গেলে সুপ্রিম কোর্টে সবার আগে প্রশ্নের মুখে পড়বেন আইনজীবীরাই।