চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
শিয়ালদহ আদালতে জমা পড়া সিবিআইয়ের ‘সিজার লিস্ট’ সেই হতাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এজেন্সি নিজে বাজেয়াপ্ত করেছে এমন সামগ্রীর সংখ্যা মাত্র তিন। সেগুলি কী কী? কয়েকদিন আগেই আদালতে তার তালিকা জমা দিয়েছে সিবিআই। তারা জানিয়েছে, লালবাজারের প্ল্যান মেকিং সেকশনের কাছ থেকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর, সেকেন্ড ফ্লোর, থার্ড ফ্লোর, ফোর্থ ফ্লোরের নকশা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারী অফিসার সীমা পাহুজা। কিন্তু সিবিআই তো নিজেদের প্ল্যানার নিয়ে গিয়েছিল ঘটনাস্থলে। তারপরেও তারা প্ল্যান বানাল না কেন? নাকি ঘটনাস্থল নির্দিষ্ট করতে না পেরে কিংবা শক্তিশালী তথ্যপ্রমাণ জোগাড় না হওয়ায় এই ঝুঁকি নিলেন না?
সেমিনার হলে কলকাতা পুলিসের তোলা ৪০টি ফটোর তথ্যই ‘সিজার লিস্ট’-এ জানিয়েছে এজেন্সি। তার সঙ্গে দেওয়া হয়েছে সেমিনার হলের ভিডিও ফুটেজ। অথচ সিবিআই নিজে ভিডিওগ্রাফার নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা কেন ছবি তুলল না? তাহলে কি ঘটনাস্থল নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারদের মধ্যে কোনও সংশয় রয়েছে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তদন্তে নেমে সিবিআই তবে কী কী বাজেয়াপ্ত করল? সেগুলি হল—টালা থানার তদানীন্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দু’টি মোবাইল ও টালা থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। নথিই বলে দিচ্ছে, খুন ও ধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত এমন কোনও সামগ্রীই সিবিআই এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করে উঠতে পারেনি। এবিষয়ে এজেন্সির সাফাই, তদন্তভার হাতে পাওয়ার আগেই অভয়ার পরনের কাপড় বা তাঁর অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়ে গিয়েছে। চারদিন পর ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়তি কী মিলবে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এখন লালবাজারের তথ্যের উপর ভরসা করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। ডিজিটাল নথিই এখন সিবিআইয়ের শেষ অস্ত্র।