বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে। আজও টাওয়ার অব লন্ডনের শোভা বর্ধন করে চলেছে এই ‘অভিশপ্ত’ হীরে। রং
তুলি, পুট্টি, কাঠ, লোহা সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সেই ইতিহাসকে আরও একবার জীবন্ত করে তুলেছেন শিল্পী।
৩৩ পল্লির পেরিয়ে কিছুটা গেলে একটি সরু গলি। দু’পাশে পুরনো দিনের দোকান আর বাড়ি। সেগুলি ইট-পাথরের নয়। বরং কাঠ, টিনের শিট ইত্যাদি দিয়ে নির্মিত। শেষপ্রান্তে সাবেকি দুর্গাদালান। সবকিছুর মধ্যে উত্তর কলকাতার রোয়াকের আড্ডার আমেজ স্পষ্ট। সেই হারিয়ে যাওয়া কালচারকে তুলে ধরেছে বেলেঘাটা শুঁড়া স্পোর্টিং ক্লাব। বাড়ির রোয়াকে, চায়ের দোকানে বসে হরেক রকমের আলোচনা। তবে আজ কাফে আর মুঠোফোনের যুগে সেই আড্ডা ঘরের মধ্যেই সীমিত। তাই ‘চায়ের দোকানে আড্ডা সকাল-সন্ধে’ই এই পুজোর বাড়তি পাওনা। ৮৩ তম বর্ষে তাদের ভাবনা, ‘দু’টোকে তিনটে।’ সৃজনে অভিজিৎ নন্দী। প্রতিমা শিল্পী পরিমল পাল।
শুঁড়া স্পোর্টিং থেকে খানিকটা এগলে চোখে পড়বে রেলের পুরনো স্টিম ইঞ্জিন। তা উড়ে যাচ্ছে আকাশের দিকে। ভিতরে মানুষের পরিবর্তে রয়েছে একদল জিরাফ। ট্রেনের কামরাগুলিও উড়ছে। ইঞ্জিনের নীচ দিয়ে গেলে এক অদ্ভূত প্ল্যাটফর্মের দেখা মিলবে। পুরনো দিনের সেই প্ল্যাটফর্মে রয়েছে স্টেশন মাস্টারের ঘর, টিকিট কাউন্টার, জেনারেটর রুম। আবার সেখানেই দেখা মিলবে এক নভশ্চরের। ওভারব্রিজের সিঁড়িতে নানান রঙের শামুক। এসবের মাঝেই চলছে দেবীর আরাধনা। তিনি যেন এই কল্পজগতের অধিষ্ঠাত্রী। এ যেন অবচেতন মনে দেখা স্বপ্ন। মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ‘এমনটা কি সত্যিই সম্ভব?’ এভাবেই এই প্ল্যাটফর্মকে ফুটিয়ে তুলেছে বেলেঘাটা সন্ধানী। এবারে তাদের পরিকল্পনা ‘প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১/৩’। ভাবনায় সোমনাথ দোলুই। পাশাপাশি ৬৩ তম বর্ষে কাঁকুরগাছি চলন্তিকা ক্লাবের এবারের ভাবনা ‘উপেন’। ভাবনায় শিল্পী রত্নদীপ প্রামাণিক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘দুই বিঘা জমি’র উপেনের জীবন সংগ্রাম আজও প্রাসঙ্গিক। বিশ্বকবির সৃষ্টিকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই প্রয়াস।