মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
‘স্বঘোষিত গড়’ রক্ষায় এদিন নন্দীগ্রামে ব্যাপক ছাপ্পা, ভীতি প্রদর্শন এবং বিরোধী ভোটারদের বাধাদানের অভিযোগ উঠেছে পদ্মপার্টির বিরুদ্ধে। সকালে নন্দীগ্রামের ২৭৯ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট চলছে বলে দাবি করেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। এমনকী তার ভিডিও ক্লিপিংও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে নির্বাচন কমিশন। বরং ওয়েব কাস্টিংয়ের ভিডিও কীভাবে বাইরে এল, তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্বিচার লাঠিচার্জে এদিন গড়চক্রবেড়িয়ায় এক বৃদ্ধের মাথা ফাটার খবর মিলেছে। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। ‘হম্বিতম্বি’ করতে গিয়ে হলদিয়ার ভবানীপুর এলাকায় জনবিক্ষোভের সম্মুখীন হন বিজেপির প্রাক্তন বিচারপতি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘গো-ব্যাক’ আর ‘চোর চোর’ স্লোগানের মুখে মেজাজও হারান। কুইক রেসপন্স টিম ডেকে লাঠি চালিয়ে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা হলেও, দফায় দফায় জনরোষের মুখে পড়েন গেরুয়া প্রার্থী। ‘পারিবারিক আসন’ কাঁথি রক্ষায় এদিন পদ্মপার্টিকে যোগ্য সঙ্গত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাদের অতিসক্রিয়তার প্রতিবাদে পটাশপুর, ভগবানপুর সহ আরও কয়েকটি জায়গায় রুখে দাঁড়ায় সাধারণ মানুষ।
গত কয়েকদিন ধরে কেশপুর ও তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীর (দেব) বিরুদ্ধে বাজার গরম করে চলছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন ভোটপর্বে সেই কেশপুরে গিয়ে তাঁকে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। দেহরক্ষী আর বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়েও হিরণ তা সামলাতে পারেননি। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভের জেরে সরে পড়তে হয় তাঁকে। একইভাবে খড়্গপুর গ্রামীণ ও কেশিয়াড়ি সহ আরও কয়েকটি জায়গায় গো-ব্যাক স্লোগানে দিনভর ‘রাগে অগ্নিশর্মা’ হয়ে থাকতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলকে। ঝাড়গ্রাম লোকসভার অন্তর্গত গড়বেতা বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল থেকে শান্ত ছিল। দুপুরে বিশাল কনভয় আর সমর্থকদের নিয়ে স্থানীয় খড়কুসমা পঞ্চায়েতের মোগলাপাতা গ্রামে ভোট দেখতে যান বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু। সেখানে তাঁকে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগানের মুখে পড়তে হয়। জবাবে লাঠি চালায় প্রার্থীর দেহরক্ষীরা। তাতে গুরুতর জখম হন এক মহিলা। তারপরই ক্ষিপ্ত জনতা তাড়া করে বিজেপি প্রার্থী সহ গোটা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। মাথা ফাটে এক দেহরক্ষীর। ভাঙচুর করা হয় প্রার্থীর গাড়িও।
কমপ্লেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে এদিন কমিশনে মোট ৩৮০টি অভিযোগ জমা করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ২২৩টি বিজেপির। তৃণমূলের তরফে জমা পড়েছে মাত্র দু’টি অভিযোগ।