মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
বিক্ষিপ্ত এক-দু’টি ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট মিটেছে কাঁথিতে। তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক ও বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী, দু’জনেই জানান যে বড় কোনও অশান্তি বা গোলমালের খবর নেই। তবে শেষবেলায় দক্ষিণ কাঁথিতে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা এলাকার রাইপুর পশ্চিমের ১৪৮ নং বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্ট নন্দন খুঁটিয়াকে মারধর করা হয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, ইটাবেড়িয়া অঞ্চলের একাধিক জায়গায় বিজেপি মানুষকে ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে।
শেষবেলায় দক্ষিণ কাঁথি দিয়ে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়ি যাওয়ার সময় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। দক্ষিণ কাঁথির ৮২ ও ৮৩ নম্বর বুথের (কাঁথি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ড) কাছে বিক্ষোভ হয়। সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাদের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করেছে। বিশাল বাহিনী এসে সৌমেন্দুকে সেখান থেকে বার করে নিয়ে যায়।
সারাদিন গরম ছিল ভালোই। সকাল ৬টা থেকে বুথে বুথে ভোটারদের লাইন পড়ে যায়। সাতসকালে বেশি সংখ্যায় মহিলাদের ভোট দিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। কাঁথি চন্দ্রামণি ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ে ভোটারদের বিরাট লাইন সকাল থেকেই। ভরদুপুরেও জনকা বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কালো প্লাস্টিকের নিচে ভোট দিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন শতাধিক মানুষ। বাচ্চা কোলে মা’কে দেখা গেল ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থেকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে যেতে।
দিনের শেষে রাজনৈতিক মহল বলছে, তৃণমূল সারাদিন রাস্তায় ছিল। তথাকথিত অধিকারী গড়ে জোড়াফুলের কর্মীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ঠান্ডা মাথায় ভোট পরিচালনা করেছেন প্রার্থী সহ তৃণমূলের ভোট ম্যানেজাররা। বিজেপির ক্যাম্প চোখে পড়লেও সেখানে কর্মী তুলনামূলক কম ছিল। অর্থাৎ, এদিন কাঁথি সাক্ষী থাকল তৃণমূল-বিজেপির জোর টক্করের। ভোট প্রদানের শতাংশ দেখে তৃণমূল শিবির উচ্ছ্বসিত। প্রার্থী উত্তম বারিক বলেন, ‘জয়ের সার্টিফিকেট থাকবে আমার হাতে।’ বিজেপির সৌমেন্দু অধিকারীও দাবি করেন, ‘জিতছি আমিই।’ সত্যিই কে জিতলেন, তা অবশ্য জানা যাবে ৪ জুন।