মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
পাত্রসায়র ব্লকের বলরামপুর প্রাথমিক স্কুলের বুথ। প্রিয়াঙ্কা চট্টোপাধ্যায় বুথ থেকে হাসিমুখে ভোট দিয়ে বেরলেন। বাইরে কথা জমাতেই উগরে দিলেন, সংসার টানতে খরচের বহরের কথা। গৃহলক্ষ্মী প্রিয়াঙ্কাদেবীর মতে, গ্যাসের দাম হাজার টাকা, ডিম সাত টাকা, পোস্ত ২০০০ টাকা। সংসার টানতে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। সেখানে প্রতি মাসে হাজার টাকা প্রচুর কাজে আসছে। তিনি বলছিলেন, আমরা সাধারণ ভোটার। কোনও দল করি না। কারও মিছিলে হাঁটি না। কিন্তু, নিজের চোখে তো দেখছি কীভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। হেঁশেলের খরচ কেমন। এগুলি তো আমাদের মতো মানুষের উপর একপ্রকার অত্যাচার! এসব ভেবেই ভোট দিয়েছি।
একই কথা বলছিলেন জয়পুরের গেলিয়া স্কুলের বুথের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আরএক গৃহবধূ পার্বতী মণ্ডল। তিনি আবার উদাহরণ টেনে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের উপর অত্যাচারের কথা বলছিলেন। সুজাতাকে ‘লক্ষ্মী’ বলেই দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ভোট কাকে দিয়েছি তা তো বলব না। মহিলাদের সম্মান যেখানে ভোট সেখানে। সুজাতা লক্ষ্মী বলেই তো গত ভোটে ওর প্রাক্তন স্বামীকে জিতিয়েছিল। কিন্তু, তারপর কী হল সবাই তা দেখেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য স্বামীরা অত্যাচার করার সাহস পায় না এখন।
কয়েকজন মহিলা আবার এসব থেকে বেরিয়ে স্থানীয় শাসকদলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।
লক্ষ্মীরা যে এবার ভোটের ময়দানে অঙ্ক কাটাকুটির খেলায় মূল আলোচনায় থাকবে, তা এখন থেকেই বোঝা যাচ্ছে। এই সমীকরণে আবার প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রীর লড়াই আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
শাসকদলের নেতাদের দাবি, এই লম্বা ভোটের লাইন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের লাইন। মুখ্যমন্ত্রীকে ভালোবাসা জানানোর জন্যই এত সংখ্যক গৃহবধূ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন। পাল্টা বিজেপির দাবি, হাজার টাকায় সম্মান কেনা যায় না তার বিপক্ষে এবার ভোট হয়েছে বিষ্ণুপুরে।