প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিকস্তরে সহকারী শিক্ষকের পদে চাকরির জন্য ২০২২ সালে ১১ হাজার ৭৫৮ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এর মধ্যে নিয়োগ করা হয় ৯ হাজার ৫৩৩ জনকে। বাকি থাকা শূন্যপদে ২ হাজার ৫১৩ জনের একটি তালিকা তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ইন্টারভিউ করে বলে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে জানান আবেদনকারীদের আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া। যদিও এঁদের অনেকেরই নিয়োগের সময়কালে ডিএলএড কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার শংসাপত্র ছিল না বলেই পর্ষদের দাবি। তাই নিয়োগ আটকে রাখা হয়। পর্ষদের পক্ষে এদিন সওয়াল করেন কুণাল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা কারও চাকরি রোখার পক্ষে নই। তবে জটিলতা কাটাতে চাই।’
যদিও আবেদনকারী চাকরি প্রার্থীদের দাবি, ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর যখন মোট ১১ হাজার ৭৫৮ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, সেসময় অধিকাংশেরই ডিএলএড কোর্স সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। স্রেফ শংসাপত্র হাতে আসেনি। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছিল। ফলে বাধা কোথায়? কেন পর্ষদ এই আড়াই হাজার পদে চাকরি দিচ্ছে না? প্রশ্ন তোলেন আবেদনকারীরা। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি বোপান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, মুখবন্ধ খামে এই ২ হাজার ৫১৩ জনের নাম, রেজাল্ট সহ যাবতীয় তথ্য জমা দিক পর্ষদ। পরবর্তী শুনানিতে সবকিছু স্থির হবে।