কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
রাজ্য সরকারের বিবিধ সামাজিক পরিষেবাকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে বিএসকে। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই কেন্দ্র থেকে এখনও পর্যন্ত পরিষেবা পেয়েছেন ৯ কোটির বেশি বঙ্গবাসী। ৪০টি সরকারি দপ্তরের ৩২৩টি পরিষেবা মেলে এগুলির মাধ্যমে। সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আধার পরিষেবা। অর্থাৎ নতুন কার্ড তৈরি থেকে সংশোধন সব কিছু করা যাবে এই কেন্দ্রে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকা কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তরের তত্ত্বাবধানেই বিএসকের মাধ্যমে আধার পরিষেবার দায়িত্ব দিয়েছে মোদি সরকার। নবান্নের এক শীর্ষ আমলার দাবি, বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু পোস্ট অফিস এবং ব্যাঙ্কে কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত ৫০ টাকার বিনিময়ে মেলে আধার পরিষেবা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ লাইনে হত্যে দিতে হয়। আবার বহুক্ষেত্রে ‘লিঙ্ক’-এর অভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েও কাজ অসমাপ্ত রেখে ফিরতে হয়। অন্যদিকে বেশকিছু ভুঁইফোড় সংস্থা অনলাইনে আধার সংশোধনের নাম করে গ্রাহকের পকেট থেকে ৫০০-১০০০ টাকা কেটে নেয়। কিন্তু বিএসকেতে এক পয়সা বেশি দিতে হবে না গ্রাহকদের। মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে আধার সহ সমস্ত সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।
নবান্ন সূত্রের দাবি, বিএসকেতে আধার পরিষেবার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে তা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের এক হাজার বিএসকেতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু হবে এই পরিষেবা। এখানে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের আধার কার্ড তৈরি করা যাবে। ফলে পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের সন্তান নিয়ে এখনকার মতো দূরে যেতে হবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, বিবিধ পেনশন সহ যাবতীয় তথ্য কিংবা ফর্মও এই বিএসকেগুলিতে বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ইলেকট্রিক বিল পর্যন্ত জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে তা জমা করলে ১ শতাংশ অতিরিক্ত ছাড়ও মেলে। এবার সেই তালিকায় আধার যুক্ত হলে আক্ষরিক অর্থে সারা বছর ‘দুয়ারে সরকার’ পরিষেবা নিশ্চিত করবে বিএসকেগুলি।