বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একই পরিবারের একাধিক সদস্য মারা গিয়েছেন। এখন আমন ধান রোপণের মরশুম। তাই মৃতদের বেশিরভাগ মাঠে কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বজ্রপাতে এত মানুষের মৃত্যু সম্প্রতি শেষ কবে হয়েছে, মনে করতে পারছেন না প্রবীণরা। রবিবার রাত থেকে অবশ্য পুরুলিয়া জেলায় ভারী বর্ষণও হয়েছে। সংলগ্ন বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাগুলিতেও ভালো পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, আজ, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলির পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়ার একাংশে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে ভালো পরিমাণ বৃষ্টির ফলে যে স্বস্তির আবহ, তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে বজ্রপাতে এত মৃত্যুর বিষাদ। অনেকেই বলাবলি করেছেন, বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকার বা প্রশাসনকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। তা নাহলে গ্রামেগঞ্জে আরও বহু মানুষ এভাবে বেঘোরে প্রাণ হারাবেন।
রবিবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়, মৌসুমি অক্ষরেখা এখন বিহারের ভাগলপুর থেকে কলকাতা ছুঁয়ে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তা যথেষ্ট সক্রিয়ও রয়েছে। এর মধ্যেই ফের একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। এর ফলে আজ সারাদিন উপকূলবর্তী দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়াতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই দু’য়ের প্রভাবে ভালো পরিমাণ বৃষ্টি হবে হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা এবং কলকাতাতেও। তবে এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ হাল্কা থেকে মাঝারি থাকবে বলেই অনুমান আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের। আজ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলাতেও ভালো বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। দেরিতে হলেও এই ধাপে বৃষ্টি যদি ভালো পরিমাণে হয়, তাহলেও অনাবাদী হতে বসা বেশ কিছু জমি আবাদ করা সম্ভব হবে বলে আশায় রয়েছেন কৃষকরা।
এদিকে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকবে। তাই আজ ও কাল সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। সোমবার সকাল থেকে কলকাতা সহ সংলগ্ল এলাকার আকাশ রীতিমতো কালো হয়ে আসে। বিভিন্ন জায়গায় সকালের দিকেই এক-দু’পশলা বৃষ্টিপাত হয়। আবার বিকেল নাগাদও কলকাতার বিভিন্ন অংশে বৃষ্টি শুরু হয়। এভাবেই আজও চলবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। সকাল থেকে রোদ সেভাবে না ওঠায় তাপমাত্রা কমে আসে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজও তাপমাত্রা একই জায়গায় থাকবে। এই খবর লেখা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে ১০.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তরের নথি।