বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বিশেষ তদন্তে রেশন গ্রাহকদের কম পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া ছাড়াও একগুচ্ছ অনিয়ম ধরা পড়ার উল্লেখ করা হয়েছে দপ্তরের নির্দেশিকায়। এতে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ রেশন ডিলার সব সপ্তাহে দোকান খোলেন না। সাধারণত দ্বিতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে দোকান খোলা হয়। সংশোধিত এলাকায় মাসে একবার রেশন দেওয়ার ঘটনাও হয়ে থাকে। গ্রাহকদের ক্যাশমেমো না দেওয়ার কথা বলেছে খাদ্য দপ্তর। কন্ট্রোল অর্ডারে ক্যাশমেমো দেওয়ার কথা বলা আছে। গ্রাহকদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে খাতার রেজিস্ট্রেশন মিলছে না বলেও নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে। রেশন ডিলারদের খাদ্য মজুত করার গোডাউনে ভেন্টিলেশন ঠিকমতো না থাকায় স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাদ্য মজুত করা যাচ্ছে না। কোন শ্রেণীর গ্রাহকদের জন্য গুদামে খাদ্য মজুত আছে, তা চিহ্নিত না করার কথাও বলা হয়েছে। এই সব অনিয়ম বন্ধ করতে জেল ও মহকুমা খাদ্য নিয়ামক এবং রেশনিং অফিসারদের কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রেশন ডিলারদের সংগঠন অবশ্য বলছে, একটি জেলায় তদন্ত চালিয়ে যে সব অভিযোগ খাদ্য দপ্তর তুলছে, তার অধিকাংশই ঠিক নয়। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, খাদ্য দপ্তর নিজেদের ব্যর্থতার দায় ডিলারদের উপর চাপাচ্ছে। কোনও ডিলাররা গ্রাহকদের কম পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী দেন না বলে তাঁর দাবি। গ্রামে সংশোধিত এলাকায় সব সপ্তাহে রেশন দোকান খোলা না রাখার ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। গ্রাহকরা এতেই অভ্যস্ত। সরকারের গুদামে রেশন গ্রাহকদের শ্রেণী অনুযায়ী সামগ্রী মজুত রাখা হয় না।
খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা অবশ্য বলছেন, রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস যন্ত্র চালু হলে অনিয়ম বন্ধ করা যাবে। তাই ওই যন্ত্র দ্রুত চালু করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পুজোর আগে এই কাজ পুরোপুরি হয়ে যাবে বলে দপ্তরের আশা। স্বাধীনতা দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানে এবার খাদ্য দপ্তরের প্রদর্শনীর থিম হবে ইলেকট্রনিক যন্ত্র। কেন্দ্রীয় সরকারও এটি চালু করার জন্য রাজ্যকে চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে, গোটা দেশে এই যন্ত্র চালু করার বিরুদ্ধে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর রেশন ডিলারদের কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সর্বভারতীয় সম্মেলনে আলোচনা হবে।