হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
বুধবার ভোররাত ৩টে বেজে ১৮ মিনিটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে রুবি মোড়ের কাছে ই এম বাইপাসে। মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মেরে গুরুতর জখম হন ট্যাংরার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা দুই ভাই প্রণয় দে ও প্রসূন দে। গাড়িতেই ছিল প্রণয়ের ১৪ বছরের ছেলে। সেদিন থেকে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনজনই। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রণয় ও তাঁর ছেলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাই তাঁদের সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার তোড়জোড় শুরু করে কলকাতা পুলিস। রাতে তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সূত্রের খবর, আজ, রবিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। আরেক ভাই প্রসূন দে’র আঘাত এখনও গুরুতর। আরও কিছুটা সুস্থ হলে তাঁর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে।
শনিবার ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সকালেই চিকিৎসকরা প্রণয় ও তাঁর ছেলেকে ‘ডিসচার্জ’ লিখে দিয়েছেন। এবার বিল মেটানোর পালা। বাবা ও ছেলের মোট বিল হয়েছে ৫ লক্ষ ১১ হাজার টাকা। কিন্তু সেই টাকা মেটাবে কে? পুলিসের দাবি, হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন প্রণয় দে। কিন্তু তাঁকে তো এখনও গ্রেপ্তার করাই হয়নি। ফলে নিয়মমতো এই বিলের দায় সরকারের উপর বর্তায় না। পথ দুর্ঘটনায় জখমদের ক্ষেত্রে সরকারি বিমার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেই টাকাও এই তিনজন পাবেন না। কারণ, পুলিস সূত্রে দাবি, মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন চালক প্রসূন। তাহলে হাসপাতালের বিল মেটানোর দায়িত্ব পরিবারের সদস্যদেরই। তাই আহতদের আত্মীয়-পরিজন কে রয়েছেন, এদিন সকাল থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পুলিস। কিন্তু রাত পর্যন্ত কাউকেই পাওয়া যায়নি বিল মেটানোর জন্য। লালবাজারের একটি সূত্রের খবর, প্রসূনের এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ টাকার বেশি বিল হয়েছে। তিনি সুস্থ হলেও একই সমস্যা দেখা দেবে। শনিবার রাতে প্রণয়কে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেলেও বিল মেটানোর সমস্যা রয়েই গিয়েছে বলে খবর।