হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
লাউড মিউজিক, উদ্দাম পার্টি, লাগামহীন ডেসিবেলের ইভেন্টে জমকালো রাত কাটাতে অভ্যস্ত আজকের তরুণ প্রজন্ম। মাত্রাছাড়া ব্যবহার চলছে ইয়ারফোন, ব্লু-টুথ ডিভাইসের। তার জেরে এই প্রজন্মের মাথায় কতটা কালো মেঘ জমে, সম্প্রতি তা সামনে এনেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মন্ত্রকের শীর্ষকর্তা ডাঃ অতুল গোয়েল জানিয়ে দিয়েছেন, লাগাতার ইয়ারফোন, হেডফোনের ব্যবহারে হু হু করে বাড়ছে কম শোনার সমস্যা, টিনিটাস এমনকী বধিরতাও। এতে কানে যা ক্ষতি হবে, তা হিয়ারিং এইড বা ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট (অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন) করেও ঠিক করা যাবে না। তাই কান তথা জীবনের ভবিষ্যৎ মারাত্মক ক্ষতি ঠেকাতে দেশবাসী, বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে দিনে ২ ঘণ্টার বেশি ইয়ারফোন বা ব্লু-টুথ ডিভাইস ব্যবহার করতে নিষেধই করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জারি করেছে ১১ দফা সুপারিশ। তাতে বলা হয়েছে, ইয়ারফোন বা হেডফোনের ভলিউম কোনওভাবেই ৫০ ডেসিবেলের বেশি যেন না হয়। বাচ্চাদের মোবাইল বা টিভি-ল্যাপটপ দেখার স্ক্রিন টাইম কমানোর পাশাপাশি বিকট বিকট শব্দ সহ অনলাইন গেম খেলা কমাতেও বলা হয়েছে। সমস্যা হলে অবিলম্বে চেক আপ এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করবার অনুরোধও জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কী বলছেন চিকিৎসকরা? কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ দীপ্তাংশু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘হেডফোনে আমরা মোটামুখি ৮০-৯০ ডেসিবেলের শব্দ শুনি। সেটাই যদি দিনের পর দিন ৭-৮ ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে, কেউ শ্রবণক্ষমতা বাঁচাতে পারবে না। এর প্রথম সূত্রপাত হবে টিনিটাস দিয়ে। কানে সবসময় ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হবে। তখনই বুঝবেন, বিপদ এসে গিয়েছে।’ পিজি’র ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, ‘আউটডোর ও চেম্বারে আসা প্রতি পাঁচ-ছ’জন তরুণ-তরুণীর মধ্যে একজন ভুগছেন শ্রবণের সমস্যায়। সুতরাং আজই সতর্ক হন। না হলে বধির হওয়া ঠেকানো অসম্ভব।’