হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
অশিক্ষক চিকিৎসকরা প্রধানত দুটি সমস্যার কথা গ্রিভান্স সেলের সদস্যদের জানান। প্রথমত, জেলায় জেলায় চিকিৎসকদের সরকারি কোয়ার্টারের বেহাল দশা এবং দ্বিতীয়ত, বহু সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এমনকী কিছু কিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঁচিল পর্যন্ত নেই বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন। পাশাপাশি রাজ্যের মেডিক্যাল শিক্ষায় পরীক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার আনার জন্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রিভান্স সেলের যৌথ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন শিক্ষক চিকিৎসকদের বড় অংশই। আগের পদ্ধতি নাকি নয়া কড়া পদ্ধতিতেই পরীক্ষা হওয়া উচিত, তা নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভোটাভুটি হয়। তাতে হাতেগোনা কয়েকজন মেডিক্যাল ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পড়ুয়া বাদে সকলেই নয়া পদ্ধতির পক্ষে মতামত দেন। ।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৪০ দিন আগে গ্রিভান্স সেলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, ২৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি চিকিৎসকদের নিয়ে তারা ‘চিকিৎসার আরেক নাম সেবা’ শীর্ষক কনভেনশনের আয়োজন করছেন। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা। তারপর গ্রিভান্স সেলের প্রতিনিধিরা চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ জানতে রাজ্যজুড়ে ২৪টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং ১টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের অডিটোরিয়ামে বৈঠক করেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রিভান্স সেল কর্তার কথায়, বহু ছোটখাট সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে আমাদের সামনেই। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রছাত্রীরা একটি টেবিল টেনিস বোর্ডের আবদার করছিলেন। কলেজ কর্তাদের সামনে আমরা ঠিক করি, একসঙ্গে চাঁদা তুলে একটা বোর্ড কিনে নিলে হয় না? যেমন ভাবা তেমন কাজ! সমাধান হয়ে গেল। এছাড়াও সার্বিকভাবে কী অভিযোগ জানালেন ছাত্রছাত্রীরা? সূত্রের খবর, ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকের অভাবে নিয়মিত ক্লাশ কম হওয়া বা বহু কলেজে না হওয়ার অভিযোগ জানান। হস্টেলের পরিকাঠামো বাড়ানোর দিকেও নজর দেওয়া জরুরি বলে জানান। সেখানে সিনিয়র রেসিডেন্টদের একাংশ ভাতার বাড়ানোর অনুরোধ জানান। বেসরকারি এক মেডিক্যাল কলেজে গেলে সেখানে জলের অভাব, মহিলাদের নিরাপত্তার অভাব সহ পরিকাঠামোগত খামতি নিয়ে গ্রিভান্স সেল কর্তাদের সামনে ক্ষোভপ্রকাশ করেন ছাত্রছাত্রীরা। এদিকে সোমবার মমতা বৈঠকের দিন বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ফেস্টের আয়োজন করায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অধ্যক্ষা ডাঃ সুহৃতা পাল বলেন, ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে, ম্যাডামের অনুষ্ঠান দেখানোর জন্য ফেস্টের মঞ্চেই লাইভ স্ট্রিমিং-এর আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিরাও যাচ্ছে। সুতরাং এ নিয়ে বিতর্কের প্রশ্নই
আসে না।