মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
বারাসতের নিবেদিতা পল্লি এলাকায় বাড়ি নয় বছরের ডালিয়ার। মা মিতা বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করেন। বাবা রবি রাজমিস্ত্রি। রেলবস্তি লাগোয়া টালি আর বেড়ার ঘরে রাত কাটে ডালিয়াদের। তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ডালিয়া ছোট থেকেই যোগে আগ্রহী। ডিসেম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে আন্তর্জাতিক যোগ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল সে। ১০টি দেশের প্রায় ২৫০ জন প্রতিযোগী ছিল। তবে ডালিয়ার স্বপ্নপূরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আর্থিক প্রতিকূলতা। মেয়ের স্বপ্নপূরণে দু’টি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেয় পরিবার। সেই টাকা দিয়ে গিয়ে আন্তর্জাতিক যোগ প্রতিযোগিতা থেকে সেরার স্বীকৃতি পেল ডালিয়া। সে বলছে, পড়াশোনার সঙ্গে মন দিয়ে যোগ শিখেছি। সাফল্য পেয়েছি, ভাল লাগছে। ডালিয়ার বাবা রবি বলেন, আমরা অসহায়। ঋণ করে সেবার পাঠিয়েছিলাম। আগামীতে মেয়ে শ্রীলঙ্কায় যেতে পারবে কি না জানি না। তবে বাড়িতে এসে মেয়েকে অনেকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।-নিজস্ব চিত্র