মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ হেদুয়া পার্ক থেকে এসইউসির মিছিল শুরু হয়। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে লেনিনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে নেতৃত্ব। তারপর রানি রাসমণি রোডের দিকে এগতে থাকে মিছিল। কলেজ স্কোয়ার, হিন্দ সিনেমা, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, চাঁদনি চক হয়ে এগয় পদযাত্রা। ভরদুপুরে ঘুরিয়ে দিতে হয় বাস। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। এম জি রোড থেকে একাধিক বাস ঘুরিয়ে দেওয়ার ফলে শিয়ালদহর উদ্দেশে হাঁটতে হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। এসইউসির মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক প্রভাস ঘোষ, রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতা। শুরুতেই বক্তব্য রাখেন নেতারা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুতের বেসরকারিকরণের বিরোধিতা, কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে সরব হন। আর জি কর কাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবিতেও জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি শহিদ মিনারের সভায় উপস্থিত হননি। সভার শেষলগ্নে তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দেন। বলেন, ‘আদিবাসীদের উপর অত্যাচার চলছে। জল-জঙ্গল-জমিন কেড়ে নিয়ে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে কর্পোরেটদের হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া হচ্ছে।’ এছাড়া ওয়াকফ আইন সংশোধন নিয়ে বিজেপিকে চূড়ান্ত আক্রমণ করেন তিনি। সবমিলিয়ে একাধিক মিছিলের জেরে একসময় স্তব্ধ হয়ে যায় মধ্য কলকাতা। এম জি রোড থেকে শিয়ালদহর উদ্দেশে হাঁটতে হাঁটতে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই প্রখর রোদের মধ্যে হাঁটতে হচ্ছে। একটা ট্রেন মিস হয়ে গেল। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে এই মিটিং-মিছিলের মানে কি, বুঝি না।’